খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির সম্পাদক পদে আলোচনায় এম.এ. জব্বার
আলমগীর হোসেন: খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল আগামী ২৪ নভেম্বর ২০১৯। কাউন্সিলকে ঘিরে উৎসব আমেজের পাশাপাশি আনন্দের বার্তা মুখোরিত হয়ে উঠেছে পার্বত্য এই জনপদ। দীর্ঘ সাত বছর পর বহুল এ প্রত্যাশিত কাউন্সিলকে ঘিরে ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজ বুকসহ সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে ।
দলের জন্য ত্যাগী ও দূ-সময়ের কান্ডারী এম.এ.জব্বার, বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও তৃণমুলের নেতারা চায় তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামীলীগকে আরো সু-সংগঠিত ও গতিশীল করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এম.এ.জব্বার এর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তৃণমুল নেতাকর্মীরা।
বর্তমান সময়ে চারদিকে তরুণ নেতৃত্বের জয়-জয়কারের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে এম.এ.জব্বার কে চায় ৯টি উপজেলার সাধারন জনগণের মধ্যে জেলা আওয়ালীগ এর বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক পদে র্দীঘদিন সততার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও মানিকছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান, সকলের আস্থাভাজন জননন্দিত জননেতা। দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার অত্যাচারের পরও আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে গেছেন এম.এ.জব্বার। তিনি যেমন তৃণমুলে সকলের পছন্দের প্রিয় ব্যক্তি, তেমনি রাজনীতির মাঠে সাধারণ মানুষের সাথেও সম্পর্ক তার আত্মার। নেতাকর্মীদের স্বার্বক্ষণিক ভাবে খোঁজ খবর নেওয়া, সুখে দু:খে পাশে সকলের পাশে দাঁড়ানো এ নেতা সকলের কাছে সৎব্যক্তি বলে লোকমুখে শুনা যায়।
এ কাউন্সিলে পার্বত্য এ জেলায় বড় ধরনের পরিবর্তন ও নতুন নেতৃত্ব ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতারাই বয়োবৃদ্ধ তাই সাংগঠনিক গতি বাড়াতে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়াটা জরুরী বলে মনে করেন রাজনৈতিক নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামীলীগের শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টিও জেলা কাউন্সিলে মাথায় রেখে যাছাই-বাছাই করে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী নেতৃত্বের লক্ষ্ নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন রাজনীতিবিদ ও দলটির শীর্ষ নেতা রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
এদিকে যোগ্য ও মেধাবীদের নেতৃত্বের প্রতি সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আন্তরিক এবং স্বোচ্ছার বলে জানিয়েছে শীর্ষ নেতারা। সাংগঠনিক তৎপরতায় আরো কয়েক জনের নাম শুনা গেলেও সাধারন সম্পাদক পদে প্রচারণায় তা প্রকাশ্যে আসছে না। এ জেলায় সংগঠনটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সবকটির কমিটির মেয়াদ চলে গেছে অনেক আগেই। ফলে এই সংগঠনগুলোর সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে বিরাজ করছে বিদায় আমেজ। দলের জেলা কমিটির ৭৫ সদস্য এবং ২১জন উপদেষ্টার অনেক্ইে নিস্ক্রিয়। তাই সক্রিয়দের নাম এখন নেতাকর্মীদের মনে স্থান করে নিয়েছে।
তবে দলকে নেতৃত্বের মাঠে শক্ত অবস্থানে ছিল দলের হালধরা,বুদ্ধি বিবেচনা ও সাংগঠনিক দক্ষতায়ও এগিয়ে তরুণরাই। সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলের আগেই জয়ের প্রতিধ্বনি শুনা যাচ্ছে মাঠে সরব এম.এ.জব্ব এর। কারণ দলের বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসনে এই এ নেতার ঘনিষ্ঠতাও দৃশ্যমান।
জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, সাধারন সম্পাদক পদে গুরুত্বপুর্ণ তাই নতুন নেতৃত্বে যোগ্য প্রাপ্তি জয়যুক্ত হবে এমনটা প্রত্যাশা করছি। কারণ তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে সংগঠনের ত্যাগী ও সক্রিয়দের নিয়ে হাই কমান থেকে নির্দেশনা রয়েছে। পালা বদলে তরুণ নেতৃত্বের সময় এসেছে। তিনি জানান, খাগড়াছড়ির আওয়ামীলীগ এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে অনেক আগেই।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, নেতৃত্বের প্রয়োজনে জেলা কাউন্সিলে যোগ্যরাই স্থান পাবে। তৃণমূল নেতাকর্মীরাই তাদের সামনের নেতৃত্বের নেতা নির্বাচন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ.জব্বার বলেন, যোগ্য নেতা নির্বাচন করবে নেতাকর্মীরা। সংগঠনকে আরো গতিশীল ও শক্তিশালী করতে কাউন্সিলে মাধ্যমে নেতৃত্বের লক্ষ ও সকলের প্রত্যাশা পুরণ হবে এমনটাই মন্তব্য করে তিনি বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কর্মীবান্ধন নেতা নির্বাচিত জরুরী।
খাগড়াছড়ির জেলা সভাপতি ও এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সংগঠনকে সুসংগঠিত করে রেখেছে। তিনি আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের মাধ্যমে কাজ করার পাশাপাশি আসন্ন জেলা কাউন্সিলে দলের বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োজনে বড় ধরনের ত্যাগেও তিনি প্রস্তুত বলে জানান সংগঠনটির সিনিয়র নেতারা।