গুচ্ছ গ্রাম ছেড়ে নিজ জায়গায় ঘর করতে ঢেউটিন দিলো লক্ষ্মীছড়ি জোন
স্টাফ রিপোর্টার: পাহাড়ের বিরাজমান পরিস্থিতির শিকার হয়ে ১৯৮৬সালের দিকে গুচ্ছগ্রামে চলে আসা বাঙ্গালিরা মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে। ধিরে ধিরে গুচ্ছগ্রাম থেকে নিজ উদ্যোগে গেলেও এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ লোকজন গুচ্ছ গ্রামে বন্ধি জীবন অতিবাহিত করছে। ইতোমধ্যে যারা নিজ উদ্যোগে গিয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তারা অনেকটাই ভালো আছে বলে স্থানীয়রা জানান। গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে নিজ ভূমিতে গিয়ে বসবাস করবেন এমন ৩জন অসহায় গরীব ব্যক্তিকে ঢেউটিন প্রদান করেছেন লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেনাবাহিনী।
২৮ জানুয়ারি সোমবার লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মিজানুর রহমান মিজান জুর্গাছড়ি এলাকায় গিয়ে ৩জনের হাতে ঢেউটিন তুলে দেন। এছাড়াও শীত বস্ত্র এবং এলাকার স্কুল ও ম্রাদাসার পানি সংকট নিরসনে একটি টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার।
এসময় নবাগত লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল জান্নাতুল ফেরদৌস, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল, লক্ষ্মীছড়ি জোনের এ্যডজুটেন্ট ক্যাপ্টন রায়শাদ রেজা রাতুল, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মারমা, লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আ: জব্বার, ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা, ত্রিলন চাকমা, আওয়ামলীগ নেতা আবুল হাসেম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল ওহাব খন্দকার, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নুরে আলম, যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সকলের উদ্দেশ্যে জোন কমান্ডার বলেন, এলাকাকে এগিয়ে নিতে হলে কোনো জাতি,গোষ্টিকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সুন্দর জীবন-যাপন ও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে মনোরম পরিবেশ প্রয়োজন যেটা জুর্গাছড়িতে আছে। লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার বলেন, লক্ষ্মীছড়ি জোনে ২০০৩ সালের দিকে লেফটেন্যান্ট থাকা অবস্থায় দেখেছি কিছু সংখ্যাক মানুষ নিজ জায়গায় ঘরবাড়ি করে থাকতে শুরু করেছে। এখন লক্ষ্মীছড়ি জোনের জোন কমান্ডার হিসেবে এসে দেখলাম এ সংখ্যা আরো অনেকে বেড়েছে। আমি মনে করি এভাবে সবাই মিলেমিশে থাকলে অবশ্যই এলাকার উন্নয়ন হবে। বাহিরের কোনো ঘটনা নিয়ে লক্ষ্মীছড়ি যেনো অশান্ত না হয় সেই আহবান জানান, জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মিজানুর রহমান মিজান, পিএসসি,জি।