চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার-লিচুবাগান সড়কের বেহাল অবস্থা
শান্তি রঞ্জন চাকমা: গত বর্ষা মৌসুমে অতি বর্ষনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বানিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারÑলিচুবাগান সড়কে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শতশত যানবাহনের মাধ্যমে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অতি ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। সামান্য বৃষ্টিতে মার্কেটের অলিগলিতে পানি ঢুকে ব্যবসায়ীরা চরম দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সংযুক্ত লিচুবাগান-দোভাষীবাজার সড়ক। লিচুবাগান সিএনজি ষ্টেশন বাংলালিংক মোড় থেকে চন্দ্রঘোনা মিশন ত্রিপুরা সুন্দরী পোল এবং কেপিএম কলাবাগান পর্যন্ত সড়কের শতাধিক স্থানে পিচ উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা উপযোগী না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পুরো সড়ক পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে দোভাষী বাজার-লিচুবাগানের শতশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় বাধ্য হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হয়। সড়কে গর্ত ও কাঁদা জমে একাকার হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি নালা ও ড্রেনেজ দিয়ে দ্রুত নিস্কাশন হতে না পারায় ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মোটর রিক্সা চালকরা জানান, পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে সড়ক বেহাল দশায় রুপ নিয়েছে। প্রায় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ জল কাঁদা-ডোবায় পরিণত হয়েছে। ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। সড়কের খানাখন্দ ও গর্তে পড়ে অনেক দূর্ঘটনা ঘটছে। লিচুবাগানের ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ লোকমান কন্ট্রাকটার বলেন, দোভাষীবাজার-লিচুবাগান সড়কের দুপাশে নালা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উপযোগী না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পুরে বাজার জুড়ে দূর্যোগ নেমে আসে। নালা-ড্রেনেজ দিয়ে পানি সরে যেতে না পারায় পুরো সড়কে একাকার হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে। এতে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সিএনজি চালক মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ঝরাঝীর্ণ সড়কে খানাখন্দ ও গর্তে পড়ে যানবাহনের মূল্যবান পার্টস নষ্ট হচ্ছে। চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারÑলিচুবাগান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা জনস্বার্থে মেরামত করা প্রয়োজন। চন্দ্রঘোনা এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃষ্টির পানির কারনে শিক্ষার্থীরা হাটু সমান পানি মাড়িয়ে নিয়মিত ক্লাস করতে পারেন না। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
দোভাষী বাজার-লিচুবাগান সড়ক হয়ে কর্ণফুলী পেপার মিলস লি:, চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল, চন্দ্রঘোনা জেনারেল হাসপাতাল, দোভাষীবাজার ডাক্তার পাড়া সহ বাজারে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। এছাড়া ও মাদ্রাসা এ তৈয়বিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া, নুরুল হক জরিনা মহিলা মাদ্রাসা, দ্যা রাইজিং সান কেজি এন্ড হাই স্কুল, আইডিয়াল কেজি স্কুল, টিউলিপ কিন্ডার গার্ডেন হাই স্কুল, দোভাষী বাজার ও লিচুবাগান সবজি বাজার সহ অসংখ্য সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানের মানুষ চলাচল করে থাকে। খানাখন্দে ভর্তি সড়কে লিচুবাগান ও দোভাষী বাজারে ক্রেতারা আসতে আগ্রহ দেখায় না। দোভাষী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহেদুল হক বলেন, সড়কটির বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা যাচ্ছে।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইদ্রিস আজগর বলেন, নালা ও ড্রেনেজ দিয়ে পানি নিস্কাশন হতে না পারায় দূর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সামান্য বৃষ্টিতে দোভাষী বাজার-লিচুবাগান সড়কে পানি উঠে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।