জাতীয়করণ হলো লক্ষ্মীছড়ি কলেজ
স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার একমাত্র কলেজটি জাতীয়করণের প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে বলে জানা গেছে।
১০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাধীন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় অবস্থিত ‘লক্ষ্মীছড়ি কলেজ’ জাতীয় করণের প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দেয়া পত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল এ খবর নিশ্চিত করেন। লক্ষ্মীছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী মোর্তুজা চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে চিঠি অনুমোদন কপি হাতে পাওয়ার কথা জানান।
উল্লেখ্য ২০০২ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (বর্তমান যুগ্ম সচিব) মো: রোকন উদ-দৌলা লক্ষ্মীছড়ি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বর্তমান লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মিজানুর রহমান ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল আলাদা আলাদা একাধিক বৈঠক করেন। এছাড়া কলেজ কমিটি, স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিরাও এগিয়ে আসে। লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় নানা প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে একাডেমীক কার্যক্রম শুরু হয় নতুন করে।
‘লক্ষ্মীছড়ি কলেজ’ জাতীয়করণের খবরে এক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মিজানুর রহমান বলেন, লক্ষ্মীছড়িতে যোগদানের পর গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ সালে লক্ষীছড়ি কলেজ মাঠে সকলকে কথা দিয়েছিলাম, ২০০২ সালে লেফটেন্যান্ট অবস্থায় প্রতিষ্টিত কলেজটিকে জাতীয় করনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাব। মহান আল্লাহ সে চেষ্টাকে সফল করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ জানান সকলকে যারা বিভিন্ন পর্যায়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন বিশেষ করে বর্তমান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম, যিনি একসময় লক্ষীছড়ি জোনের জোন কমান্ডারও ছিলেন। এখন শিক্ষক/শিক্ষকাগন মনোযোগ সহকারে পাঠদান করে আমাদের আশা পূরন করবেন, লক্ষীছড়িকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করবেন এই কামনা করেন তিনি।
দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে অবশেষে লক্ষ্মীছড়ি কলেজ জাতীয় করণের অনুমোদন পাওয়া এক যুগান্তকারি সাফল্য বলে মনে করেন এলাকাবাসী।