থমথমে খাগড়াছড়ি, জনজীবন স্থবির

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার: হামলা-পাল্টা হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষে নিহত আহত ঘটনার পর থমথমে পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার পরিস্থিতি। দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন পাহাড়ি নিহত হয়েছে জানিয়ে এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে একজন মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিনজন পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এদিকে, সেখানে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলন ও সহিংসতার পেছনে ইন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। অবৈধ অস্ত্র হাতে মাঠে তৎপরতা চালানো ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশও দেন তিনি।
খাগড়াছড়ির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা করা হয়েছে। ৭ প্লাটুন বিজিবি রয়েছে মাঠে।
জানা যায়, রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের নেতৃত্বে গুইমারার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় সেনা সদস্যরা। তাদের উপর ইট পাটকেল ছুঁড়লে গুইমারা জোনের টুআইসিসহ ১২ জন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তখন সেনা সদস্যরা ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এক পর্যায়ে পাহাড়ি ও বাঙালি সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। এলাকার বেশ কয়েকটি ঘর ও দোকানপাটে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা উচু পাহাড় থেকে জনতার উপর ব্রাশ ফায়ার করলে নিহত হন ৩ জন। এদিকে, পরিস্থিথি নিয়ে খাগড়াছড়িতে মতবিনিময় সভা করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। অবৈধ অস্ত্র হাতে মহড়া ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে, শনিবার জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে সড়ক অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ির মহাজন পাড়া ও উপজেলা পরিষদ এলাকায় দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া,সংঘর্ষে আহত হন ২৩ জন। এঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।
এদিকে ফের অনিদৃষ্টকালের জন্য তিন জেলায় সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে জুম্মু ছাত্র জনতা। সড়ক অভরোধ পালনের পাশাপাশি সোমবার দুপুর ১২টার পর ঢাকা-খাগড়াছড়ি,চট্টগ্রাম-খাহড়াছড়ি অসুস্থ্য রোগীদেও এ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াতের স্বার্থে অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। লাগাতার অবরোধ এবং ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে খাগড়াছড়ির সাধারণ মানুষের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।