দিঘীনালার সোনামিয়া টিলার ৮১২ বাঙ্গালী পরিবার নিজ ভূমিতে যেতে আবারো বাধা
স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুছড়াস্থ সোনামিয়া টিলার ৮১২ পরিবারর নিজ ভূমিতে যেতে আবারো বাধার সম্মুখিন হয়েছেন। জানা গেছে, সরকার কর্তৃক বন্দোবস্তিকৃত ৫ একর টিলাভূমির মালিক এবং নিয়মিত বাৎসরিক খাজনা পরিশোধ করেও নিজ ভূমিতে ফিরতে পারছে সোনামিয়া টিলার বাসিন্দারা, কারণ হিসেবে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৎকালীন বিরাজমান পরিস্থিতে স্থানীয় প্রশাসন সোনামিয়া টিলায় বসবাসরত ৮১২ পরিবারকে নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে নিজেদের ভূমি থেকে উঠিয়ে এনে বাবুছড়ায় গুচ্ছগ্রামে বন্দি করেছে, তখন সকলকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিলেও সেই থেকে বন্দিদশায় দিনানিপাত করছে এসব বাঙ্গালী পরিবার।
বিগত কয়েক বছরে প্রশাসন ৮১২ পরিবারকে নিজেদের ভূমিতে ফেরত না নিলে নিজ উদ্যোগে আজ (২১মে) সকালে গুচ্ছগ্রাম হতে উক্ত ৮১২ পরিবারের সদস্যরা সোনামিয়া টিলায় নিজেদের ভূমিতে ফিরতে শুরু করে, এসময় বাবুছড়া হতে কয়েকটি পরিবার সোনামিয়া টিলায় গেলেও বাকি পরিবারগুলোকে বাবুছড়া বাজারে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ এবং পুলিশ সোনামিয়া টিলায় পৌঁছে যাওয়া পরিবারগুলোকে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় দিঘীনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম ও দিঘীনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন ভুইয়া উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আঃ মালেক জানান, তৎকালীন প্রশাসন আমাদের নিজ ভূমি থেকে ফেরত নেবার আশ্বাসে উচ্ছেদ করে গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দিশালায় বন্দি করলেও বর্তমানে তারাই আমাদের নিজ ভূমিতে ফেরত যেতে দিচ্ছেনা, পৃলিশ ও প্রশাসন বাধা দিচ্ছে। গুচ্ছগ্রামের মতো জেলখানায় আর আমাদের বসবাস করা সম্ভব না, আমরা যেকোন মূল্য বন্দিদশা থেকে মুক্তি চাই, নিজ ভূমিতে ফিরতে চাই। এদিকে এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্র্রতিষ্ঠাতা আলকাছ আল মামুন ভুইয়া বলেন, পাহাড়ে প্রশাসন বাঙ্গালীদের সাথে এভাবে নির্দয় আচরণ করলে বাঙ্গালীরা উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী নয় বরং প্রশাসনের কারনেই একসময় পাহাড় ছেড়ে যেতে বাধ্য হবে। বাধা দেয়ার বিষয়ে জানতে দিঘীনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন ভূইয়ার মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে দিঘীনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, সোনামিয়া টিলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা চলছে তারপরেও কয়েকজন বাঙ্গালী আজ সেখানে যেতে চেয়েছে আর আগে থেকেই সেখোনে উপজাতীয়রা অবস্থান নিয়েছে তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সহ আমরা উভয় পক্ষকেই সেখান থেকে বুঝিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া বিষয়টা নিরসনে উপরস্ত কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা চলছে, শীঘ্রই সিদ্ধান্ত আসবে।