দীঘিনালায় বন্যা: সর্বশান্ত কৃষক, কৃষিখাতে ক্ষতি ১৪ কোটি টাকা

মোঃ আল আমিন , দীঘিনালা: খাগড়াছড়ির দীঘিনালাতে এবারের বন্যায় অতুলনীয় ক্ষতি হয়েছে কৃষিখাতে। যার আর্থিক ক্ষতির পরিমান ১৪ কোটি টাকার বেশি। মাত্র ২ মাসের মধ্যে পর পর চারবারের বন্যায় সর্বশান্ত হয়েছে কৃষক পরিবার। যা কোনভাবেই উৎপাদনের মাধ্যমে এবছর আর পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তবুও অতিক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কথা বিবেচনা করে, যতটুকু সম্ভব তাঁদের ঘুরে দাঁড় করানোর প্রচেষ্টায় কৃষি উপদেষ্টার নির্দেশনায় বীজ, সার, চারা ও সবজি বীজ দেওয়ার প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ২হাজার ৫৩২জন কৃষক। ফসল নষ্ট হয়েছে ২হাজার ৫৫০ একর জমির। এর মধ্যে আউশ ২২৫ একর, আমন ১হাজার ৯১২ একর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ৩৫০ একর, আদা ২০ একর, হলুদ ১২ একর এবং ৩০ একর জমির ফলবাগান। উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি এলাকার কৃষক মো. মোবারক হোসেন (৫৬) জানান, তিনি ৩ একর ২০ শতক জমিতে আউশ ধান চাষ করেছিলেন। একবার চাষ করতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়। উৎপাদনের পর খরচ উঠে আসে এর বাহিরে সারা বছর পুরো সংসারের খাদ্যের চাহিদা মেটানো হয় এ আবাদ থেকে।
এবছর সম্পূর্ন নষ্ট হয়েছে বন্যায়, তাও আবার একবার নয় ২বার লাগানো হয় কিন্তু বন্যায় নষ্ট হয়েছে। মৌসূম না থাকায় এবছর আর কোনভাবেই উৎপাদনের মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানান মোবারক হোসেন। আরো বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে একই অবস্থার কথা জানা যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, এবারের বন্যায় দীঘিনালাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমান ১৪ কোটি, ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান, কৃষি উপদেষ্টার নির্দেশনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। তারই আংশ হিসেবে সোমবার (২সেপ্টেম্বর) বিকালে ১৫০ জন কৃষককে ধানের বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। এর বাহিরে পর্যায়ক্রমে অধিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের চারা ও রবি সবজি বীজ দেওয়া হবে। প্রণোদনা বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশীদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।