খালার বাড়ি বেড়াতে দীঘিনালায় এসে লাশ হলো ব্রাম্মনবাড়িয়ার যুবক
দীঘিনালা প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় খালার বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হলেন ব্রাম্মনবাড়িয়ার যুবক। নিহত যুবক আজগর আলি (২২) ব্রাম্মনবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার মাধবপুর গ্রামের জহুর আলির ছেলে।
১৬ নভেম্বর শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বাচামেরুং এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নিহতের খালার বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০গজ দুরে রশিদের পরিত্যাক্ত একটি মাটির গুদাম ঘরের পাশে পরেছিল আজগরের লাশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে ৩/৪দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। লাশের শরিরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের খালার বাড়ির স্বজনদের দাবী আজগর রবিবার তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়ে আর ফিরেনি। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার চারদিনের মধ্যেও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত না করার বিষয়টি রহস্যের চোখে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানিয় সূত্র জানায়, বাচামেরুং এলাকায় নিহত আজগরের খালা সেলিনা বেগম এবং খালু আশরাফ মিয়ার বাড়ি। আজগর প্রায় সময় খালার বাড়ি বেড়াতে আসতো। লাশটি প্রথম দেখেন স্থানীয় মাসুমা বেগম (৩৮)। মাসুমা জানান, জরুরী প্রয়োজনে তিনি রশিদের পরিত্যাক্ত বাড়ির পাশের সরু সড়কে যাচ্ছিলেন। নির্জন স্থানে লাশ পরে থাকতে দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তাৎক্ষনিক বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
অপরদিকে নিহতের খালুর বাড়িতে গিয়ে আশরাফ মিয়া এবং সেলিনা বেগমকে পাওয়া যায়নি। নিহতের খালাতো বোন আকলিমা (২০) জানান, তাঁর বাবা মা চিকিৎসার জন্য প্রায় চার মাস আগে থেকে ব্রাম্মনবাড়িয়ায় অবস্থান করছেন। তবে তার বাবা সম্প্রতি এসেছিলেন আজগর আসার আগেই। আবার আজগর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তিনি ব্রাম্মনবাড়িয়া চলে গেছেন। আকলিমার স্বামি রহমত উল্লাহ (২৪) থাকেন বরিশালে। তিনি বৃহষ্পতিবার বাড়ি এসেছেন। রহমত উল্লাহ জানান, ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেননা। আজগর আলির নিখোঁজের বিষয়টি জেনে তারা ভেবেছিলেন সে হয়তো কাউকে না বলে ব্রাম্মনবাড়িয়া চলে গেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে না জানালেও ফেসবুকে জানান দেওয়া হয়েছিল।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের মাথার পিছনে এবং মুখের ডানপাশে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। এছাড়া নিহতের অন্ডকোষ অতিরিক্ত ফোলেছিল এবং চিহ্ণ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের পর অন্ডকোষ চেপে ধরে হত্যা করা হয়েছে। তবে নিহতের পকেটে ৫০০ টাকাও পকেটে পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রওনক আলম জানান, হত্যা করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এবং সন্দেহের সকল দিক সামনে রেখেই তদন্ত চলছে; দ্রুত হত্যা রহস্য উদঘাটন হবে বলে পুলিশ আশাবাদি।