দীঘিনালায় ত্রিপুরা শিশুর লাশ উদ্ধার: প্রতিবাদ-মানববন্ধন
দীঘিনালা প্রতিনিধি: দীঘিনালা উপজেলায় এক ত্রিপুরা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার নয়মাইল এলাকা থেকে পুলিশ পুনাতি ত্রিপুরার (১০) লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ধারনা ৫ম শ্রেণির এই ছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে নয়মাইল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। বাড়ির পাশের ছড়া থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে দীঘিনালা থানা পুলিশ।
খবরে প্রকাশ ,ছাত্রীর মা জুম (পাহাড়ে চাষাবাদ) থেকে ফিরে বাড়ি এসে মেয়েকে না দেখে খুঁজতে থাকেন। পরে রাত ১১টায় বাড়ির পাশের ছড়া থেকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। মেয়েটি দুই হাত কনুই ভাঙ্গা। মেরুং ইউনিয়নের স্থানীয় ঘনশ্যাম ত্রিপুরা জানান, শনিবার দুপুরের পর থেকে মেয়েটি নিখোঁজ। রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি দীঘিনালা থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। দীঘিনালা থানার ওসি মো. আব্দুস সামাদ জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় মেয়েটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি অবগত করেন। পরে ভিকটিমের বাড়ির ১৫০ ফুট নিচে একটি ছড়া থেকে রাত সোয়া ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। দীঘিনালা থানার ওসি মো. আব্দুস সামাদ জানান, এলাকায় সকাল থেকে পরিস্থিথি থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও দুপুরের দিকে তা নিয়ন্ত্রনে আসে। ঘটনার প্রতিবাদে ভোর থেকেই খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি-লংগদসহ আভ্যন্তরীন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখে অবরোধ সৃষ্টি করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নয়মাইল ত্রিপুরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা দোষিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে। একই প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) মানববন্ধন করে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আনার চেষ্টা করছেন। সবশেষ খবরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।