দীঘিনালায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় কারাদন্ড, ১ লক্ষ টাকা জরিমানা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে গণধর্ষনের ঘটনায় তিন যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে আসামীদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছর করে সাজা দিয়েছে । বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা দায়রা জজ রতেœশর ভট্টাচার্য এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বড় মেরুং-এর বাসিন্দা মতূর্জ আলীর ছেলে মো: ইসমাইল হোসেন(২১), একই গ্রামের বাসিন্দা ইছাক আলীর ছেলে মোঃ ইমন হোসেন (২০) ও আক্কাস আলীর ছেলে ফারুক মিয়া(২৩)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৮ জুন দীঘিনালার উপজেলার ছোট মেরুং আশ্রাফিয়া মাদ্রাসার জনৈকা দশম শ্রেনীর ছাত্রী আরবি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ী ফিরছিল। নির্জন এলাকায় দুপর সোয়া ১টার দিকে ঐ তিন যুবক তার পথরোধ করে তাকে মুখ, হাত ও পা বেধে ফেলে এবং তামাক ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এক পর্যায়ে মোবাইলে ভিডিও করে রাখে এবং ঘটনা কাউকে জানালে ধর্ষননের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় ঐদিন বিকেলে ধর্ষিতার মা (খোরশেদা বেগম) বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। আদালত তার পর্যবেক্ষনের বলেন, মামলার ২০ স্বাক্ষীর মধ্যে তিন ডাক্তারসহ ১২জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে ধর্ষনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০এর ৯(৩) ধারায় তিন আসামীদের বিরুদ্ধে এ দন্ড দেয়া হলো। রায়ের পর্যবেক্ষনে আরো বলা হয়, এ অপরাধে আসামীদের মৃত্যুদন্ড হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামীদের বয়স বিবেচনায় আদালত মৃত্যুদন্ডের পরির্বতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। ধর্ষিতার মা (খোরশেদা বেগম) মামলার রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
আসামীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আবুল হোসেন রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে জানিয়ে বলেন. মামলাটি দুইভাগে বিভক্ত। আজ ধর্ষন মামলার রায় হলো। এর আগে ধর্ষনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় পর্ণগ্রাফি আইনে ইতিপূর্বে আসামীদের বিরুদ্ধে পাচঁ বছর করে সাজা দিয়েছিল আমলী আদালত।