দুর্যোগ মোকাবিলায় রাঙামাটি হবে দেশের মডেল: ডিসি রশিদ

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মামনুর রশিদ বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় রাঙামাটি হবে দেশের মডেল। এজন্য আমাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। তিনি বল

লক্ষ্মীছড়িতে ৪২তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত
চিংড়ি ঘেরের বিরোধের জেরে পেকুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ২, ৭টি অস্ত্র উদ্ধার
অবৈধভাবে মাটি কাটায় ইট ভাটার মালিকের মোবাইল কোর্টে জরিমানা এক লক্ষ টাকা

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মামনুর রশিদ বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় রাঙামাটি হবে দেশের মডেল। এজন্য আমাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমাদের পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সমূহে সনাক্ত করে ওই এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দা এবং সংশ্লিষ্ট পৌর কমিশনাদের নিয়ে দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নতুন করে ঘর তুলতে দেওয়া হবে না।

দূর্যোগ আসার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে তাদের সরিয়ে নিতে হবে। তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে আসবে। ডিসি জানান, প্রয়োজনে জেলার সচেতন নাগরিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হবে। ১০ মার্চ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহুল আমিন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনী আক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।

ডিসি রশিদ বলেন, কাপ্তাই  হ্রদ হচ্ছে দেশের সম্পদ।  হ্রদের পারে কোন ঝুলন্ত ল্যাট্রিন থাকতে পারবে না। এ ব্যাপারে নিজে তদারকি করবেন বলে যোগ করেন তিনি। ডিসি আরও বলেন, পাহাড়ের মাটি পরিক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য  মৃত্তিকার সাথে সমন্বয় করা হবে। স্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। এজন্য জেলার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। দূর্যোগ মোকাবেলা করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট এমনকি সভা-সেমনিার করা হবে বলে ডিসি জানান।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ওইদিন সকালে ‘জানবে বিশ্ব জানবে দেশ, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি  শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে  গিয়ে শেষ হয়।