দেশে প্রথম নির্মিত খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত সচিব
স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পরিচালিত কালেক্টরেট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আবুল কাশেম মহিউদ্দিন।
৪ নভেম্বর বুধবার খাগড়াছড়ির শালবন এলাকায় অবস্থিত এ বিদ্যালয় পরিদর্শকালে তিনি বলেন, কালেক্টরেট বিদ্যালয় অনেক জায়গায় আছে কিন্তু কালেক্টরেট প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় দেশে এটাই প্রথম। তাই জেলা প্রশাসনের এ অবিস্মরনীয় উদ্যোগকে টিকিয়ে রেখে সাফল্যের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, প্রচার প্রকাশের মাধ্যমে দানশীল ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রশংসা কুঁড়ানোর লক্ষ্যে নয়, একান্ত মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই এই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টির কাজে এগিয়ে আসা। কিন্তু এখনো বিদ্যালটিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম, প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়ক উপকরণসহ অনেক কিছুর অভাব রয়েছে।
এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত সচিব বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও বিদ্যালয়ের প্রতি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াসের আন্তরিকতার বিষয়ে সাংবাদিক, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে বক্তারা বিদ্যালয়ের প্রতি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর আন্তরিকতা ও অনবদ্য ভূমিকার কথা তুলে ধরে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, পার্বত্য প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মো: জুলহাস উদ্দিন, সাংবাদিক সমীর মল্লিক, ব্যবসায়ী নেতা সুদর্শন দত্ত, প্রধান শিক্ষক মারজিয়া বেগম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা।
এসময় উপ-সচিব কেএম মনিরুজ্জামান, উপ-সচিব মো: জসিম উদ্দিনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পরিচালিত এ বিদ্যালয়ে ২২ জন শিক্ষক/কর্মচারী রয়েছেন এবং ১৯৯ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে।