ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করছে, তারা মানবতার শত্রু
স্টাফ রিপোর্টার: কোন ধর্মই সন্ত্রাসী তৎপরতাকে সমর্থন করেনা মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো: ইমরাউল কায়েস ইমরুল, পিএসসি বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এ শ্লোগানে একাট্টা হয়ে পাহাড়ে একের পর এক উৎসব পালিত হচ্ছে। এসব উৎসব পাহাড়ে সম্প্রীতির মেলবন্ধনে পরিনত হয়েছে। পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনী কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি স্থাপনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
২৬ অক্টোবর শুক্রবার মাটিরাঙ্গা সার্বজনীন গৌতম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানের মুল পর্বের পরে মন্দিরের সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন মাটিরাঙ্গা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো: ইমরাউল কায়েস ইমরুল, পিএসসি। মাটিরাঙ্গা জোনের এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন ইফতেখার রিয়াদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুভাষ চাকমা, মাটিরাঙ্গা সার্বজনীন গৌতম বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবুল আসাম ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ চাকমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপ্রিয় উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো: ইমরাউল কায়েস ইমরুল, পিএসসি বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করছে, তারা মানবতার শত্রু। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, পাহাড়ের সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্ঠাকারীদের সম্পর্কে সচেতন থাকারও আহবান জানান তিনি।
পরে তিনি মাটিরাঙ্গা টিএন্ডটি টিলা সার্বজনীন গৌতম বৌদ্ধ বিহারের ভান্তে শ্রীমৎ মঙ্গল দর্শী ভিক্ষু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের হাতে মাটিরাঙ্গা জোনের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
এর আগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার টিএন্ডটি টিলা সার্বজনীন গৌতম বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দানোত্তম ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ পালিত হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দ্বেশনা আর ধর্মসভা‘র মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি। ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’ উপলক্ষ্যে বিহার প্রাঙ্গণে আয়োজিত ধর্মসভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি মিলনপুর বৌদ্ধ বিহারের ভান্তে ভদন্ত সত্যনন্দ মহাথের ভিক্ষু। দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসবে ধর্মদ্বেশক হিসেবে ধর্মদ্বেশনা প্রদান করেন খাগড়াছড়ি বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষরা।