• October 12, 2024

ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি: নোটিশের পরও ইটভাটার কাজ চলছে, প্রশাসন নীরব

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের তিন ফসলী কৃষি জমি নষ্ট করে নির্মিতব্য একটি ইটভাটা বন্ধের জন্য ভূমি, পরিবেশ ও বন সচিব, সহ ১৩ কর্মকর্তাকে ’বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’ নোটিশের পরও বন্ধ হয়নি কার্যক্রম। উল্টো আরো জোরেসোরে এর কার্যক্রম চলছে। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভূমি কর্মকর্তা ও ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ধানী জমির কৃষকরা।

সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, ফটিকছড়ির কৃষি ভান্ডার খ্যাত হারুয়ালছড়ির পূর্ব ফটিকছড়ি মৌজার কৃষি নাল জমিতে ”মেসার্স এনএসবি ব্রীকস” সাইন বোর্ড লাগিয়ে ৪-৫টি জীপ গাড়ী যোগে ৫-৭ জন শ্রমিক ইটভাটা নির্মানের জন্য কাজ করছে। টিউবলে বড়ানো হচ্ছে। কাজিরহাট-নাজিরহাট সড়ক ঘেষে ”মেসার্স নাছির এন্ড শফি ব্রীক ম্যানুফেকচার” সাইনবোর্ড লাগিয়ে অফিস ঘর করা হচ্ছে। গত নভেম্বর মাসে এসব বিষয়ে দৈনিক আজাদী সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর ও এলাকাবাসীর অভিযোগের পর জনৈক শফিউল আলম ও নুরুল ইসলামগং হারুয়ালছড়ি বিলে নির্মিতব্য ইটভাটা বন্ধের জন্যে বেলা’র আইনবিজী এডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর স্বাক্ষরীত ও ১২ নভেম্বর ইস্যুকৃত নোটিশের ৭ দিনের মধ্যে মধ্যে যথাযত জবাব দেওয়ার অনুরোধ জানান। জবাব না দিলে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম’র পরিচালক, ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ফটিকছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি), হারুয়ালছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান ও ইটভাটার দুই মালিককে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ফটিকছড়ি উপজেলা আইন শৃংখলা সমন্বয় সভায় কৃষি জমিতে ইটভাটা করলে অপরাপর কৃষকের সাথে ইটভাটা মালিকের রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষেও আশংকা আছে মর্মে রেজুলেশন হয়। কৃষি জমির মালিক ও বর্গা কৃষকরা তাদের তিন ফসলী কৃষি জমি ধ্বংস করে বেআইনী ভাবে ইটভাটা তৈরীর অভিযোগে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানব বন্ধন করেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপিও প্রদান করেন।

বেলা’র আইনবিজী এডভোকেট সাঈদ আহমেদ কবীর বলেন, আমাদের নোটশের কোন জবাব দেয়নি কোন পক্ষ। আবার এনএসবি ব্রীক্স ইটভাটা নির্মাণের কাজও অব্যাহত রেখেছে। কদিন আগে আমরা পূণ:রায় সরেজমিনে পরিদর্শন করি। এখন আমাদের আইনী লড়াইয়ে যেতে বাধ্য হলাম।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, হারুয়ালছড়ি বিলে ইটভাটা বন্ধের জন্য বেলা’র নোটিশ পাওয়ার পর অভিযুক্তদের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দিই। এখন তারা পূণ:রায় বেআইনী ভাবে কাজ করছে বলে খবর পেয়েছি। সেখানে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত্য ব্যবস্থা নেব।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post