পর্যটনগুলো বিনোদন প্রেমীদের পদচারনায় মুখরিত
কাপ্তাই প্রতিনিধি: সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে ভরপুর রূপসী কাপ্তাই ও শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক। লুসাইকণ্যা কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পিকনিক পর্যটনষ্পট। প্রতিদিন প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে উপভোগ করতে পর্যটনগুলোতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুঁটে যাচ্ছেন। বিনোদন প্রেমীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে পর্যটনগুলো। নদী ও পাহাড়ের কোলে প্রিয়জনদের নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠছেন পর্যটকরা। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও আবহাওয়ার পরিবেশ ভাল থাকায় গত বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটকদের আগমন অনেকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে পিকনিক ষ্পট মালিকরা জানিয়েছেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শেষ সীমান্তে চন্দ্রঘোনা-হোছনাবাদ ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে আর্ন্তজাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক। সুবিশাল এলাকা জুড়ে মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়েছে। কিচির মিচির নানান জাতের পাখির শব্দে পার্ক এলাকা মুখরিত।
যুগল জুটি সেলিম ও সালমা জানান, পাহাড় বেষ্টিত কৃত্রিম হ্রদের উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার ক্যাবল কার। ক্যাবল কারে চড়ে অনায়াসে প্রাকৃকিত সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারছে টুরিষ্টরা। তবে ক্রুটি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্যাবল কার সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ইকো পার্কের অন্যতম আকর্ষন হচ্ছে লোহার ব্রিজ বেয়ে কৃত্রিম দ্বীপের চারপাশের জলরাশি ও প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে উপভোগ করা যায়। ফরিদপুর থেকে বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, শেখ রাসেল এভিয়ারী পার্কের কয়েক কিলোমিটার পরেই চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে কাপ্তাই ওয়া¹া বিজিবি ক্যাম্পের পাশে গড়ে উঠেছে প্যানোরমা ঝুম রেস্তোরা। কর্ণফুলী নদীর তীরে সুবিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটনটি।
গৃহবধু পারভীন আক্তার বলেন, গাছের উপর মাচাং। খুব সুন্দর দৃশ্য। অনায়াসে টুরি্যষ্টরা সেখানে প্রিয়জনকে নিয়ে অপরূপ সৌন্দয্য উপভোগ করতে পারছে। পাহাড়ের কোলে বসার তোরন সু-ব্যবস্থা রয়েছে। নদীর ধারে পাথরের উপর প্রাকৃতিক দৃশ্য ক্যামরাবন্দি করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে আলাদা বিনোদন কেন্দ্র। রয়েছে ষ্পেশাল চা, কপি ও বিভিন্ন আইটেমের সু-স্বাধু খাবার। প্রকৃতির সাথে একাকার হতে এটি সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। দুর দুরান্ত থেকে আসা টুরি্যষ্টদের জন্য রয়েছে কটেজ ব্যবস্থা। বিনোদন প্রেমীদের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় রয়েছে বিজিবি’র নিজস্ব র্ফোস।
কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে বয়ে যাওয়া রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী ও রাউজান উপজেলায় তেমন কোন পর্যটন ও পিকনিক স্পট গড়ে উঠেনি। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার জুড়ে কর্ণফুলী নদী প্রবাহমান। পাহাড়-নদী মিলে মিশে মিতালী হয়েছে এক অপরূপ সৌন্দয্য। রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা আইল্যান্ড খ্যাত চিরিংগা এলাকায় কর্ণফুলী নদীর মাঝে একটি আকর্ষনীয় দ্বীপ রয়েছে। এ দ্বীপকে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র করা সম্ভব। রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীর ধারে পর্যটন গড়ে না উঠলেও কাপ্তাইয়ে অসংখ্য পর্যটন ও পিকনিক ষ্পট গড়ে উঠেছে।
কাপ্তাইয়ে প্যানোরমা ঝুম রেস্তোরার পাশে গড়ে তোলা হয়েছে ফ্লাইটিং পিকনিক ষ্পট, বনশ্রী পিকনিক ষ্পট, শীলছড়ি পাহাড়িকা পিকনিক ষ্পট, বালুরচর জাতীয় উদ্যান পিকনিক ষ্পট, বিএফআইডিসি পিকনিক ষ্পট, নৌবাহিনীর পিকনিক স্পট, জীবতলী আর্মী ক্যাম্প পিকনিক ষ্পট, কাপ্তাই আর্মী ক্যাম্প পরিচালিত বিনোদন কেন্দ্র, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ে, কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্মিত মনোমুগ্ধকর বড়াদম ব্রিজ, চিৎমরম বৌদ্ধ মন্দির, ওয়া¹া চা এস্টেট, কর্ণফুলী হ্রদ, কাপ্তাই কার্গো পারাপার, কর্ণফুলী পেপার মিল সহ প্রায় ১৯টি পর্যটন স্পট ও কমপ্লেক্সের দর্শনীয় স্থানে পর্যটকরা অনায়াসে ভ্রমণ করছেন।