পানছড়ি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সরকারি ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকের কলেজ থেকে আংশিক বেতন ভাতা প্রদানের দাবী নামক ষড়যন্ত্রমুলক অভিযোগে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে ও নিয়মিত ক্লাশ গ্রহণ এবং বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষকা প্রতিষ্টানটির সাবেক ও বর্তমান ছাত্র/ছাত্রী এবং অভিভাবকগন।
সোমবার (২৫শে মার্চ) সকাল ১১টায় কলেজ চত্তরে অনুষ্টিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অভিভাবক চিত্ত রঞ্জন চাকমা, সাজেই মারমা,আব্দুল আজিজ, তত্বদর্শী চাকমা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২৪শে মার্চ ২০১৯ইং খাগড়াছড়ি জেলা সদরে কিছু শিক্ষক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা সস্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা বানোয়াট, ভিক্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক। সরকারী বেতন প্রাপ্তির পরেও ছাত্রদের পাঠদান ও পরীক্ষা না নেওয়া এক ধরণের অনৈতিক কাজ। আপনরা যারা ছাত্র-ছাত্রীদের এহেন ক্ষতি করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নয়নের স্বার্থে ক্লাশ মুখী হোন। আমরা আপনাদের ন্যায় দাবীতে সাথে থাকবো।
এ বিষয়ে পানছড়ি সরকারী ডিগ্রি কলেজ এর অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা বলেন, গত ২০১৮সনের আগষ্ট মাসে কলেজটি জাতীয় করন ঘোষণা পর, প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বেতন ভাতা শিক্ষকদের মাঝে পরিশোধ করা হয়েছে। অধ্যবধি শুধুমাত্র সরকারি বেতন ভাতা শিক্ষকগন উত্তোলন করিতেছেন। বর্তমানে কিছু শিক্ষক কলেজ প্রদত্ত বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলন করিয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আসছেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বাংলাদেশ গেজেট মতে বিধিমালা ৮“সরকারীকৃত কলেজ”, ১৪ “কার্যকর চাকরি কাল” এবং ৯ (বেতন ভাতাদি) মতে সকল শিক্ষক কর্মচারীগন সরকারী করণের তারিখ হতে অবশিষ্ট টাকা পাবেন। বর্তমানে আমার কলেজ অংশের বেতন বাবদ টাকা ব্যয় করার ক্ষমতা নাই।
আন্দোলনরত অধ্যাপক শিবু নারায়ন পাল, রতœ কুসুম চাকমা, নজরুল ইসলাম,পাই¤্রা সং মারমা বলেন, আমাদের দাবী নিয়ে মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত আবেদন করেও সাড়া পাই নাই। কলেজের অংশ থেকে আমাদের সম্মানী দেওয়া হচ্ছে না। অথচ অধ্যক্ষ সাহেব ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাজ থেকে বকেয়া বেতন সহ পরিক্ষা ফি বাবদ ১৯ শত টাকা নিয়েছে। আমাদের বেতন না দিয়ে অধ্যক্ষ ছাত্র- ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা আত্মসাৎ করিতেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শিখ্ষার্থীরা অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবী যাদের বার্ষিক বকেয়া বেতন আছে তারা হয়ত ১৯শ টাকা দিয়েছে। দরিদ্র অনেকেই বিনা বেতন, অর্ধ-বেতন ও শুধুমাত্র পরীক্ষা ফি দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আন্দোলনরত ক্লাশ বর্জনকারী স্যারেদের কাছে অনুরোধ, শিক্ষায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে কলেজে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।