বন্যার্তদের পূনর্বাসন সহায়তা প্রদান করলো সেনাবাহিনী, এক টাকায় বাজার পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ
স্টাফ রিপোর্টার: গত ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা শুরু থেকেই ফটিকছড়িতে বন্যার্তদের সাহায্য ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিকভাবে কমে গেলেও বন্যায় দূর্গত মানুষেরা এখনো তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এই উপজেলায় বন্যা দূর্গতদের ত্রাণ ও পূনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে গুইমারা রিজিয়নের লক্ষীছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা। ফটিকছড়িতে সেনাসদস্যদের বন্যার্তদের পূনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম। উক্ত পূনর্বাসন কার্যক্রমে ৬০টি ক্ষতিগ্রস্থ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে কৃষিপন্য সার ও বীজ, বাসস্থান নির্মাণের জন্য টিন, অসহায় মহিলাদের সাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন ও গবাদিপশু বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রায় ৫০০ জনকে এক টাকার বাজারের আওতায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জন রোগীর মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। পূনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে রিজিয়ন কমান্ডার স্থানীয় জনগন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি আশ্বাস প্রদান করেন যে, বন্যার্তদের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর এ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এসময় গুইমারা রিজিয়নের লক্ষীছড়ি জোনের জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল তাজুল ইসলাম, উপ-অধিনায়ক মেজর সারোয়ার জাহান, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার মো; জামাল উদ্দিনসহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধিবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
“এক টাকায় বাজার”
এক টাকার বাজার পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে “এক টাকায় বাজার” অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিনব এ বাজারের উদ্বোধন করেন ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেডের গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম। এক টাকার এই বাজার থেকে ৫শ পরিবার পণ্য সংগ্রহ করে। যার মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আটা, তেল, ডিম, মাছ মুরগী, কাপড়, শিক্ষা উপকরণ সহ ১৯ ধরনের পণ্য। এছাড়াও ৬০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন, সেলাই মেশিন, ছাগল, কৃষিপণ্য সার ও বীজ বিতরণ সহ ৮শতাধিক রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।