বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাত ধরেই এদেশে সংবাদপত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রসার ঘটেছে
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তৎকালীণ পূর্ব বাংলা এবং পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাত ধরেই সংবাদপত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রসার ঘটেছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় আজ অপসাংবাদিকতায় ও হলুদ সাংবাদিকতার ছোঁয়া লেগেছে! ফলে প্রকৃত সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা পদে পদে সন্মান হারাতে বসেছে। যার কারণে সরকার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে আবারও এই মহান পেশাটিতে সৎ ও দেশপ্রেমিক এবং আদর্শবান শিক্ষিত লোকদের সমন্বয়ে কলংকমুক্ত করে এগিয়ে নিতে চায়।
৩ নভেম্বর মঙ্গবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলার পেশাজীবি সাংবাদিকদের নিয়ে
দিন ব্যাপি প্রেস কাউন্সিল আইন,আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. সাঈদ মোমেন মজুমদার এর সভাপতিত্বে এবং প্রেস সচিব মো. শাহ আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান, দৈনিক অরণ্যবার্ত সম্পাদক ও বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী মো. আতাউর রহমান রানা, জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মো. নুরুল আজমসহ জেলার সিনিয়র সকল ও উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
সভার শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে প্রেস কাউন্সিল আইন,আচরণবিধি এবং তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সচিব মো. শাহ আলম। এ সময় পেশাজীবি সাংবাদিকরা প্রেস কাউন্সিল এর উদ্যোগে তৃণমূলে সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র জগৎ নিয়ে সময়ের প্রয়োজনে এ ধরণের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালাসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর নানামূখী কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।
পরে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সভায় স্থলে আসলে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা মহান অতিথিকে বরণ করে নেন। এর পর প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তৎকালীণ পূর্ব বাংলা এবং পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাত ধরেই সংবাদপত্র ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রসার ঘটেছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় আজ অপসাংবাদিকতায় ও হলুদ সাংবাদিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ফলে প্রকৃত সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা পদে পদে সন্মান হারাতে বসেছে। যার কারণে সরকার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে আবারও এই মহান পেশাটিতে সৎ ও দেশপ্রেমিক এবং আদর্শবান শিক্ষিত লোকদের সমন্বয়ে কলংকমুক্ত করে এগিয়ে নিতে চায়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র জীবন, রাজনীতি জীবনের প্রতিটি ক্ষনে তিনি মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তিনি সৎ ও আদর্শ থেকে কখনও বিন্দুমাত্র সরে আসেননি। দেশ স্বাধীন এর আগেও তিনি এ অঞ্চলের শেরে বাংলা ফজলুল হকসহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে অধিকার হারা মানুষের হয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। সত্য ও আদর্শের কথা বলতে গিয়ে ছাত্রজীবনে শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলে যেতে হয়েছে। তারপরও তিনি থেমে যাননি। তিনি আরো বলেন, কে কোন রাজনীতি করবে সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু লিখনি হতে হবে নিরপেক্ষ।
পরবর্তীতে এই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতধরেই এদেশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা মনপ্রাণ খুলে লিখতে ও বলতে শিখেছে। ওনার(বঙ্গবন্ধু) অবর্তমানে আবারও রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ বলে স্বীকৃতি মহান পেশাটি ঘিরে শুরু হয়েছে অপসাংবাদিকতা। হলুদ সাংবাকিদের রাহুগ্রাস থেকে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মুক্ত করতে তৃণমূলে কাজ শুরু করেছে সরকার তথা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।
পরে তিনি সাংবাদিক নেতা দৈনিক অরণ্যবার্ত সম্পাদক ও বিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি চৌধুরী মো. আতাউর রহমান রানা ও জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়–য়ার বক্তব্য শোনেন।
সভাপতির বক্তব্য শেষে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সকল সাংবাদিকদের সনদপত্র ও বই উপহার দেন প্রধান অতিথি বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।