বন্যায় দীঘিনালায় ব্যাপক ক্ষতি
দীঘিনালা প্রতিনিধি: বন্যার ক্ষত না শুকাতেই মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায়। গত দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছোটমেরুং এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে আবারও বন্যার কারণে চাষাবাদে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় শঙ্কিত সবজি ও ধানচাষিরা। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) কিছুটা পানি কমতে শুরু করেছে। ছোটমেরুং বাজার এলাকার বাসিন্দা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এফ এম আলমগীর হোসেন (৩৯) জানান, ছোটমেরুং বাজারের মাঈনী নদী তীরবর্তী অংশ এবং চিটাগাংগ্যা পাড়াসহ নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে গতকাল তবে আজ কিছুটা পানি কমতে শুরু করেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি বন্যার পানি শুকানোর পর অতিরিক্ত মূল্যে ধানের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে রোপণ করেছিলেন অনেকে। নতুন বীজতলাও করেছেন অনেকে। কিন্তু বন্যার পদধ্বনিতে শঙ্কিত চাষিরা। উপজেলার সুধীর মেম্বার পাড়ার গ্রামের চাষি মোঃ দিদার (৪৪) জানান, দুই একর জমিতে ধানচাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলেন তিনি, যা সম্প্রতি বন্যায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবারও তড়িঘড়ি বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্তু নতুন করে সে বীজতলা আবারও ডুবেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপন চাকমা জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় ২৫ একর রোপা আউশ ধান ক্ষতি হয়েছে। সাথে নষ্ট হয়েছে অনেকের বীজতলা।
অন্যদিকে, সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্ণা চাকমা জানান, উপজেলার ১ হাজার ১৯৯টি পুকুরের মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩টি পুকুর। বিগত প্রায় ১০ বছরেও এত ক্ষতি হয়নি। এবারের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ টাকা।