বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব গুইমারায়
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলা পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী জাতির প্রাণের উৎসব হলেও পার্বত্যাঞ্চলের মানুষ উৎসবটিকে ভিন্ন ভাবে পালন করে। এ অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে বর্ষবরণ করে থাকে। বর্ষ বিদায় আর বর্ষবরণ উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের ন্যায় সবুজ পাহাড়েও বসে রঙ্গের মেলা। বৈসাবী আর নববর্ষের আনন্দে মিলেমিশে সকলে হয়ে যায় একাকার।
বর্ষবরণ উপলক্ষে প্রতিবছর ন্যায় এবারও গুইমারা আর্মি ষ্টেডিয়ামে আয়োজন হরা হয় সম্প্রীতি মেলা। সকাল থেকে সেনা পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে উৎসুক জনতা এ মেলায় অংশগ্রহণ করে। বর্ণিল সব খাবারের আয়োজন আর রমনীদের বাহারী সাজ, নানান খেলাধুলা ও সুরের মূর্ছনায় আরো রঙ্গিন হয়ে উঠে মেলা প্রঙ্গন।
সকালে বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে বৈসাবি এবং বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন ২৪ আর্টিলারী ব্রিগেডের গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম। পুরোনো বছরের দুঃখ গ্লানি আর হতাশা ভুলে নববর্ষের নব উদ্যমে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। সম্প্রীতির এই বন্ধনকে ধরে রেখে দেশকে এগিয়ে সকলের প্রতি আহবান জানান রিজিয়ন কমান্ডার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডারের সহধর্মিনী বেগম ফাহমিদা সাজেদ, সিন্দুকছড়ি সেনা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল নওরোজ নিকোশিয়ার, লক্ষ্মীছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো: ফেরদৌস’সহ বিভিন্ন উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, সামরিক-বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় এবং অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর নাচে গানে মাতিয়ে তুলে পুরো আর্মি ষ্টেডিয়াম। এছাড়াও মেলায় নানা রকমের খেলার আয়োজন করা হয়।