বিজয় দিবসে শীতার্তদের পাশে সেনাবাহিনী
স্টাফ রিপোর্টার: ঋতু বৈচিত্রের বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ বলে পরিচিতি হলেও সাম্প্রতিককালে সমভাবাপন্ন বাংলাদেশ ক্রমশ: চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে হাড় কাঁপানো শীতে নাকাল বাংলাদেশের মানুষ। বিশেষ করে নিন্ম আয় ও হতদরিদ্র মানুষের দূর্ভোগ শীতকাল এলেই বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর শীত নিবারণের জন্য কিন্তু শীত এলেই এদেশের এ শ্রেনীর মানুষগুলো তাকিয়ে থাকে সমাজের বিত্তবানদের দিকে। দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শীতের প্রকোপ বেশী থাকে। ফলে পাহাড়ে বসবাসরত নিন্ম আয়ের পাহাড়ী-বাঙ্গালী মানুষগুলোর কষ্ট বেড়ে যায়। পৌষ মানুষের শুরু মাত্র। এখনই বিগত কয়েকদিনের হিম ধরানো শীতে কিছুটা হলেও অনুমান করা যাচ্ছে এবছরের শীত প্রকোপ কতটা ব্যাপক হতে পারে।
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৪৭তম বর্ষপুর্তিতে দেশের শীতার্ত মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪আর্টিলারী ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন। বিজয়ের দিনে ১৬ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে হিল ভিডিপির শতাধিক শতার্তদের মানষে বিতরণ করা হয় শীতবস্ত্র(কম্বল)। সাম্প্রতিক কালে শীতে নাকাল মানুষের পাশে সৌর্হাদ্যের উষ্ণতার পরশ নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন ২৪আর্টিলারী ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম। গুইমারা রিজিয়ন সদর দপ্তরে শীতার্তদের মাঝে শীতবন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এসময় গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার এ.কে.এম সাজেদুল ইসলাম বলেন, বিজয়ে দিনে গুইমারার কোন মানুষ শীতে যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে অন্যান্য সময়ে তুলনায় অনেক বেশী পরিমাণ শীতবন্ত্র ইতিমধ্যে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। শীতবন্ত্র বিতরণ কার্যকম বর্তমানে শীতের শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিজয় দিবসে আনন্দ ভাগাভাগি ও জনগণের কাছে যাওয়া এবং তাদের সুখ দু:খ জানার মাধ্যে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে এসময় গুইমারা রিজিয়নের জিএসও-টু মেজর মঈন, ব্রিগেড মেজর(বিএম)মেজর ফাহিম মোনায়েম, ডিকিউ মেজর নাফিজাত হোসাইন, জিএসও-৩ মেজর পারভেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।