বিভিন্ন দূর্গামন্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার
স্টাফ রিপোর্টার: শরতের সাদা কাশফুলের ভেলায় ছড়ে সনাতন ধর্ম মতে জাগতিক সকল অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাতে দেবী দূর্গার আগমন ঘটে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় ৩টি পুজা মন্ডপে সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে ৫দিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসব। গত সোমবার রাতে দেবী দূর্গার বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজার শুভ অষ্টমী ও কুমারী পুজার দিন বুধবার দুপুরে উপজেলা তিনটি পুজামন্ডপ পরিদর্শন করেন ২৪আর্টিলারী ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম সাজেদুল ইসলাম।
উপজেলার দূর্জা মন্ডপ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গুইমারা দার্জিলিংটিলা কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরে স্থাপিত দৃষ্টি নন্দন দুর্গা প্রতিমা মন্ডপে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এসময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম সাজেদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিক থেকে এদেশ অন্যদের অনুকরনীয় হতে পারে। পার্বত্যাঞ্চলের সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখলে উন্নয়ন হবেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত “ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এই কথাকে ধারণ করে শারদীয় দুর্গোৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যরাও সার্বজনীন উৎসবে মিলিত হয়েছে। এধারা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্ব দেন তিনি। শান্তি, নিরাপত্তা ও শিক্ষা এই তিন প্রথম প্রায়োরিটি বলে উল্লেখ করে সম্প্রীতি বজায় থাকলে উন্নয়ন প্রক্রিয়া আরো তরান্বিত হবে এবং এ এ প্রক্রিয়া কোনভাবেই বাঁধাগ্রস্থকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিভর্য়ে ও আনন্দের সাথে পূজা উদযাপন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকল প্রকার অনাকাংখিত ঘটনা এড়াতে দাযিত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীদের সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশন দেন তিনি।
এর আগে কালিমন্দির প্রাঙ্গণে পৌছলে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডারকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন দার্জিলিংটিলা শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি নন্দন বনিক, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দে সব সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গুইমারা রিজিয়নের পক্ষ থেকে ৩টি পূর্জা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির হাতে নগদ অর্থ, মিষ্টি ও ফল তুলে দেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল ইসলাম।
রিজিয়ন কমান্ডারের সফর সঙ্গী হিসেবে এসময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন ১৪ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাসিব, রিজিয়ন কমান্ডারের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, গুইমারা রিজিয়নের জিএসও-টু মেজর মঈন, ডিএকিউ মেজর নাফিদাত হোসাইন, উপজেলা র্নিবাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী সহ পূজা উদযাপন কমিটির ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গুইমারা উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও গুইমারা দার্জিলিংটিলা কেন্দ্রীয় কালিমন্দির, ডাক্তারটিলা হরিমন্দির ও বাজারপাড়া চন্ডি মন্দিরে দূর্গোৎসব পালন করেছে গুইমারা উপজেলা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুক্রবার বিজয়া দশমীতে দেবী দূর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেখ হবে এবছরের শারদীয় উৎসব দূর্গাপুজার।