বিষ পানে ২সন্তানের জনকের রহস্যজনক মৃত্যু গুইমারায়, থানায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: গুইমারা উপজেলার ডাক্তারটিলা গ্রামের মংপুশে মারমার একমাত্র পুত্র উচাইরী মারমা(৩৫)কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ১পুত্র ১কন্যা সন্তানের মৃত উচাইরী মারমা গুইমারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে কি কারণে সে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। এ মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার-আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাংখীরা। কেউ কেউ তার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড করে হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও প্রত্যদর্শীরা জানান ১৩অক্টোবর শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ডাক্তারটিলা দোকান সংলগ্ন এলাকায় উচাইরী একটি বেঞ্চ চুপচাপ বসা অবস্থায় হঠাৎ ঢলে পড়ে গেলে উপস্থিত স্থানীয়রা তাকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে সে বমি করে এবং মুখ থেকে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান তারা। কর্তব্যরত ডাক্তার ওয়াস করার পর সে কীটনাশক পান করেছে বলে জানান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার করলে নিহতের স্বজনেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ফটিকছড়ি এলাকায় গেলে উচাইরী মারমার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাৎক্ষনিক তাকে নাজিরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করেন।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৪টার দিকে স্থানীদের মাধ্যমে উচাইরী মারমার মৃত্যুর খবর পান এবং সকালে এম্বুলেন্সের ভিতর থেকে উচাইরী মারমার মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। প্রাথমিকভাবে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করেন তিনি এব্যাপারে গুইমারা থানার একটি অপমৃুত্য মামলা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী ডলিপ্রু মারমা, ছেলে ক্যউচাই মারমা ও আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উচাইরী মারমার পারিবারিক কোন কলহ ছিল না। অত্যন্ত বিনয়ী ও ন¤্র স্বভাবের উচাইরী মারমার সাথে কারো তেমন কোন বিরোধও ছিল। কিন্তু কেন আত্মহত্যার মত ঘটনা ঘটালো তার সঠিক রহস্য উদঘাটনের দাবী জানান নিহতের একমাত্র ছেলে ক্যউচাই মারমা।
সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গুইমারা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ বারী জানান, নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার মুখ ও লালায় কীটনাশকের গন্ধ ছিল। যেস্থান থেকে উচাইরী মারমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয় সেখানে একটি কাচের ভাঙ্গা কীটনাশকের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক াবে কীটনাশক পানে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারনা করলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ডাক্তারটিলা এলাকায় একটি অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রত্যক্ষ দর্শী ছিল উচাইরী মারমা। ঐ ঘটনার জেরে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার দাবী জানান স্থানীয়রা। উচাইরী মারমা কোন কৃষক ছিল না। এত রাতে সে কীটনাশকের বোতল কোথায় পেল তাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে স্থানীয়দের অভিমত।