মহালছড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ণের অভিযোগ
মহালছড়ি(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: মহালছড়িতে মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর উদযাপন নিয়ে ইউএনও’র বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা প্রশাসন থেকে যথা সময়ে চিঠি না দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করা হয়।
একই ভাবে মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগকেও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম হুমায়ূন কবির বলেন, মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে সময়মতো চিঠি দেওয়ার কথা থাকলেও সময়মতো দেয়নি। মহালছড়ি বাজারের একটি মুদি দোকানে ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রেখে যাওয়া চিঠি কেউ কেউ ১৬ ডিসেম্বর সকালে হাতে পায়। যা মুক্তিযোদ্ধাদের অবমূল্যায়নের সামিল। তিনি আরো বলেন, চিঠির বিষয়ে জানতে গিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক থৈসাউ মারমাকে দোষারোপ করেন মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার। যা নিতান্তই দায়সারা কথাবার্তা। একারণে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা ঘটনাটি দুঃখজনক মন্তব্য করে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্বস্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেছি।
অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক থৈসাউ মারমা জানান, চিঠির খাম ১৫ তারিখ বিকাল ২ টার দিকে সে হাতে পেয়ে চিঠি বিলি করতে সময় লেগে যাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি বিতরণ করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এতে তার করনীয় কিছুই ছিলোনা বলে জানান। এদিকে মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জানান, সে উপজেলা প্রশাসনের কোন চিঠি হাতে পায়নি। এমনকি তাকে ফোনেও কোন কিছু জানানো হয়নি। যা উপজেলা আওয়ামীলীগকে অবমূল্যায়নের সামিল। তিনি আরো বলেন, চিঠি না পাওয়ার কারনে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বয়কট করেছেন।
এব্যাপারে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবাইদা আক্তার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ এর বিষয়টি তাঁর জানা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তেমন কোন কিছু হয়নি। মুক্তিযোদ্ধারা সবাই উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে।