মাটিরাঙ্গায় হাতকাটা জামাল এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শেয়ার করুন

মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি: পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ১৯৮৫-৮৬ সালে মোঃ জামাল উদ্দিন পিতা ফয়েজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি দুই হাত দুই পা সহ সম্পুর্ন সুস্থাবস্থায় বসবাস শুরু করে আসছিল। 

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে গুচ্ছগ্রামে সংগঠিত হওয়ার প্রক্কালে সরকার প্রদত্ত যে রেশন কার্ড তার নামে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল সেটি ১০৬ নম্বর কার্ড । ঐ রেশন কার্ডেও তিনি নিজের নাম মোঃ জামাল উদ্দিন হিসেবে তথ্য দিয়েছেন এবং তাহার বিয়ের কাবিননামাতেও তার আসল নাম মোঃ জামাল উদ্দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিছুদিন পর তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নস্থ আমবাগান এলাকা ছেড়ে কোথায় যেনো হঠাৎ উধাও হয়ে যান বেশ কিছু দিন।

এরপর আবার আমবাগান এলরাকায় ফিরে এলে তার ডান হাতের কব্জি কাটা অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী দেখতে পায়। তার হাতের এমন অবস্খা সম্পর্কে এলাকাবাসী জানতে চাইলে রহস্যজনক কারনে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। সেই সময় থেকে স্থানীয়রা তাকে হাতকাটা জামাল নামেই ডাকেন বলে জানা যায়। এ সময় হাতকাটা মোঃ জামাল উদ্দিন নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন । বহিগত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধার অবৈধ ক্ষমতা দাপট ও পরিচয় দেয়ার সুবাদে, অন্যায়ভাবে সাধারণ আমবাগান এলাকাবাসীর বিভিন্ন সম্পদ বা জায়গা জমি দখল করে নিতো। সামান্য কথাকাটাকাটি হলে নিজের ত্রীকেে নিজেই দা দিয়ে কোপ মেরে অথবা নিজে গায়ে নিজেই আঘাত করে, অথবা নিজের মেয়ে মেরে এলাকাবাসীর নামে মিথ্যা, বানোয়াট মাামলায় ফাসিয়ে দিতো । তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর খাস লোক দাবী করে মানুষের জায়গা দখলের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড টানিয়ে দিতো । আর পান থেকে চুন খসলেই যে কোন মানুষের বিরুদ্ধেে তিনি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, জবর দখল, হত্যা মামলার মাধ্যমে হয়রানি জুলুম ও নির্যাতন করতো।

তার এহেন জুলুম, নির্যাতন, অন্যায় ও আত্যাচারের কারনে এ এলাকার শত শত মানুষ মামলা মোকাবেলা করতে করতে অর্থনৈতিকভাবে সর্বশান্ত হয়েছে । এলাকাবাসীর জানিয়েছেন, তিনি সত্যিকারে কোন বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, তিনি বরিশাল জেলা আগৈলঝড়া উপজেলার নতিহার গ্রামের বাসিন্দা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রহমান মিয়া, পিতা মোঃ ফজলু মিয়া, যাহার মুক্তিবার্তা নম্বর- ০৬০১০৯০৫২৫ এর নামীয় কাগজপত্র জালজালির মাধ্যমে সরকারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নিজের আসল পরিচয় গোপন করে যুগের পর যুগ সরকারি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তার জুলুমবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমবাগানবাসী ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড, মুহাম্মদ ইউনুস সহ প্রশাসনের সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন ।

এ ছাড়াও গেলো ৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫ টার দিকে আমবাগানের জবর দখলরকৃত বাড়ীর সামনে দাড়িয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত আন্দোলনকারীদের গালগাল করে দেখে নেয়ার হুমকি দেন অত্র এলাকায় যারা আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছেন । চতুর, ধুরন্দর প্রকৃতির এই হাতকাটা জামাল খোলস পাল্টে এখন নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ গ্রহনকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সুবিধা নিতে মরিয়া । যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট এবং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ । তার মিথ্যা বক্তব্য বিশ্বাস ও যড়যন্ত্রে পা দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত আন্দোলনকারীদের অর্জিত সাফল্যকে প্রশ্নবিধ্য না করতে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাধারণ এলাকাবাসী।

Leave a Reply