মাটিরাঙ্গায় অবৈধ ব্রীকফিল্ড কী বন্ধ হবে না ?
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি: পাহাড় কাটা বন্ধের সু-স্পষ্ট আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রর্দশন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ (লাইসেন্স বিহীন) ব্রীকফিল্ড। মাটিরাঙ্গায় প্রতিবছর নতুন নতুন ব্রীকফিল্ড নির্মান ও তাদের লাগামহীন অবৈধ পন্থায় ব্রীক (ইট) উৎপাদনী কার্যক্রম দেখেও তা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে প্রশাসন রহস্যজনক কারনে নির্বিকার থাকায় সচেতন মহলসহ জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন । সচেতন মহল মনে করেন,প্রশাসনের পক্ষ থেকে শক্ত নজরদারী না থাকায় অবৈধভাবে ব্রীকফিল্ড নির্মানের জন্য মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌরসভা তাদের জন্য রীতিমতো নিরাপদ এলাকা হিসেবে বিবেচিত।
কখনো কখনো আলোচনার টেবিলে প্রশ্নের সম্মুখীন হলে , উন্নয়নের অযুহাত দেখানোর জুড়ি নেই নিজেদের দায় এড়ানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংষিøষ্ট কর্তৃপক্ষের। শুধূমাত্র দু-একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ছাড়া তেমন কোন পাহাড় কাটা বা উর্বরা কৃষি জমির মাটি বোলড্রেজার মেশিনে উত্তলোনকারী অপরাধীর বিরুদ্ধে একটাও মামলা অথবা কার্যকরী আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের খবর পাওয়া যায়নি। কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশের চেষ্টা করে তার উপর নেমে আসে ষড়যন্ত্রের কশাঘাত , চলে প্রাণ নাশের চেষ্টা ও হুমকি ধমকি। অবৈধ ব্রীকফিল্ডের প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধ কার্যক্রম বিবেচনায় না নিয়ে উল্টো গনমাধ্যম কর্মীর বিরুদ্ধে চলে সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা। এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরেরও কোন ধরনের নজরদারী নেই বল্লেই চলে। পরিবেশ রক্ষায় যে সকল প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কাজ করেন তারাও অজ্ঞাত কারনে চুপ বসে আছেন। বেঁচে থাকার জন্যে সাধারন মানুষ সামান্য পরিমান পাহাড় কেটে ঘরবাড়ী নির্মান করতে গেলে প্রশাসনের নজরদারীর কারনে তা সম্ভব হয়না অথচ পাহাড়ের পর পাহাড় কেটে ও পুকুর খননের নামে কৃষি জমির উর্বরা মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে কোটি কোটি ইট। ব্রীকফিল্ড মালিক সমিতির সুত্রে জানা গেছে , পরিবেশ অধিদপ্তর , বিভিন্ন প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলকে ম্যানেজ করেই এই অবৈধ ব্রীকফিল্ডগুলো তারা পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়,আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি,ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যহত থাকবে।
তাহলে কি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ছাড়া প্রশাসনের আর কোন পদক্ষেপ গ্রহণের কিছু নেই,এই প্রশ্ন সমাজের প্রতিটি মানুষের।