মানবতার আর এক নাম খাগড়াছড়ি রোভার
পাহাড়ের আলো ডেস্ক: ২৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার। খাগড়াছড়ি জেলা রোভার এর আওতাধীন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের হাইকিং ছিলো। সেই ধারাবাহিকতায় রোভার স্কাউটের একটা টিম যায় খাগড়াছড়ির অন্যতম টুরিষ্ট স্পট মায়ূং কপাল বা হাতির মাথা সিঁড়িতে।
যাওয়ার পথে তারা দেখতে পায় সিন্তু ত্রিপুরা নামের ১৭বছর বয়সী এক কিশোর। যে কিনা গাছ থেকে পড়ে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছে। তখন সকাল ৯টা। টিমের সদস্যরা ছেলেটাকে সহযোগিতা করতে চাইলে স্থানীয়রা করবে বলে জানায়।
দুপুর ২টার দিকে টিমের সদস্যরা ফিরতি পথে ঠিক একই জায়গায় ছেলেটাকে পড়ে থাকতে দেখে! ততক্ষনে ছেলেটা ব্যাথায় ছটফট করছিল।
পরে টিমের সদস্যরা নিজেদের উদ্যোগে বনের গাছ লতা দিয়ে স্ক্র্যাচ বানিয়ে ছেলেটাকে কোন রকমে ৫ কিলোমিটার পথ নিয়ে আসে। সেই হাইকিং রোভার টিমের কেউ একজন ৯৯৯ এর জরুরি সেবায় ফোন দেয় ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সম্মিলিতভাবে ছেলেটাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালর নিয়ে আসে। মা- বাবা মরা ছেলেটির নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা ছিলনা। তাই হয়তো অভিভাবকও ছিলনা।
বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। টিমের সদস্যরা খাওয়া দাওয়া, মেডিসিনসহ দেখভাল করছে। খাগড়াছড়ি জেলা রোভারে সিনিয়র রোভার আতিক, হামিমসহ পুরো টিমের আন্তরিকতা ও মানবিকতা প্রকাশ পেলো।
খাগড়াছড়ি জেলা রোভার সম্পাদক মো: দুলাল হোসেন এর অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি জানান, রোভার স্কাউটের মটো হলো সেবা। আমরা আমাদের রোভারদেরকে মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ব্যাডেন পাওয়ালের দেখানো সকল কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করতে চেষ্টা করছি। তিনি অরো বলেন, মানুষের মঙ্গল কামনা করাই হলো বিধাতার ই্চ্ছা। রোভার ও গার্ল ইন রোভার সদস্যদের এই ধরনের মানবিক আচরণে তিনি একজন সম্পাদক হিসেবে গর্বিত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণা মোতাবেক খাগড়াছড়ি প্রতিটি উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে দুটি রোভার স্কাউট ইউনিট চালু করতে খাগড়াছড়ি জেলা রোভার কাজ করে যাচ্ছে।