মানিকছড়ির যোগ্যাছোলায় কলেজ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন
মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ জনপদ ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন এলাকা। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এই জনপদে প্রায় ১২ হাজার মানুষের বসবাস থাকলেও ইউনিয়ন এলাকার ১২ কিলোমিটারের মধ্যে নেই কোন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতি বছর স্থানীয় ৫টি দাখিল মাদরাসা ও ১টি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করা ৫শতাধিক শিক্ষার্থীকে মানিকছড়ি সদর কিংবা ফটিকছড়ি উপজেলায় গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়।
যাতায়াত সমস্যা কিংবা আর্থিক সংকটে থেমে যায় অনেকেরই লেখাপড়া। ঐ জনপদের দশটি গ্রামের প্রাথমিক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে অধ্যয়নরত ৫হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ইউনিয়ন সদরে কলেজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্নে কলেজ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন। কলেজটি চালু হলে আশপাশের বিভিন্ন প্রাথমিক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষায় বিশেষ সুফল পাবে। এসময় বিশিষ্ট শিল্পপতি এইচএ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হাফিজ আহমেদ, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন, যোগ্যাছোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.কে আজাদ, শিক্ষক আবদুল মান্নান, ইউপি মেম্বার মো. জসিম উদ্দিন, ইউনুছ মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নুরুল আফসার শামীম, সাধারণ সম্পাদক অংশেপ্রু মারমাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে কলেজের উন্নয়নে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদানের আশ্বাস দেন বিশিষ্ট শিল্পপতি এইচএ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হাফিজ আহমেদ। এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এই এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের প্রাণীর দাবী ও স্বপ্ন ছিলো ইউনিয়ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। দেরিতে হলেও সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে, এখানকার শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিশেষ সুবিধায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে’।