মানিকছড়িতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত
মানিকছড়ি প্রতিনিধি: “সময় এখন নারীর: উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম–শহরে কর্ম-জীবনধারা” স্লোগানকে সামনে রেখে মানিকছড়ি উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৮ মার্চ “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” উদযাপন উপলক্ষে নারী উন্নয়ন মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার(৮মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম এর উপস্থাপনায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ(ভা:প্রা:) এর সভাপতিত্বে নারী উন্নয়ন মেলা ও আলোচনা সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উন্নয়ন মেলার শুভ উদ্ভোধন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেলা আক্তার, কারিতাস উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক গীতা চাকমা প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জয়ীতা, উপজেলার বিভিন্ন সেচ্চাসেবি সমিতি ও সংগঠন, নারী ফোরাম, মানিকছড়ি বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, চেংগুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা’র শিক্ষার্থী ও করিতাস সহ বিভিন্ন নারী সংগঠনের সদস্য বৃন্দ। এসময় প্রধান অতিথি ম্রাগ্য মারমা বলেন, বর্তমান সরকার নারী বান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার নারীদের অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে নানা মুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। তুলনামূলক ভাবে অতিতের চেয়ে বর্তমানে নারী-পুরুষ বৈষম্য অনেক কম। তাছাড়া নারীরা এখন দেশ ও জাতীর উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারী বৈষম্য কমাতে হলে অবশ্যই নারীকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই নারী পুরুষ বৈষম্য কমে আসবে। তাই নারীদের যেমন শিক্ষিত হতে হবে তেমনি হতে হবে যোগ্য। যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলে কেউ কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ(ভা:প্রা:) বলেন, দেশ ও জাতীর উন্নয়নে নারীর ভূমিকা অনেক। নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। তারা দক্ষতা ও যোগ্যতার বলে সামাজের বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। নারীরা সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সফলতার সাথে কর্ম জীবন অতিবাহিত করে আসছে।
আলোচনা সভা শেষে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দরা। মেলার স্টল গুলো হলো কুমারী দরিদ্র মহিলা উন্নয়ন সমিতি, বিশাখা মৈত্রী মহিলা ফাউন্ডেশন, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, হোমিও ডাক্তার জোবেদা খাতুন ছাড়াও মহিলা বিষয়ক পিঠা কর্ণার মেলায় অংশ নেয়। মেলায় হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিস পত্র ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা দেখতে পাওয়া যায়। এসময় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীর ছিল চোখে পড়ার মত।