মানিকছড়িতে তক্ষক পাচারকারী চক্রের ৫জন আটক
মানিকছড়ি প্রতিনিধি: বন্যপ্রাণী তক্ষক বা টুট্যাং মহামূল্যবান সম্পদ এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে প্রতিনিয়ত পার্বত্য জেলা থেকে এসব নিরীহ প্রাণী পাচার করছিল একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। ১৫ এপ্রিল এমন একটি ঘটনার গোপন সংবাদ পেয়ে মানিকছড়ি থানা পুলিশ ওই সংঘবদ্ধ চক্রের ৫সদস্যকে একটি তক্ষকসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,দীর্ঘদিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি,বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ী জনপদ থেকে একটি শক্তিশালী(বড়) বণ্যপ্রাণী পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে বন্যপ্রাণী তক্ষক বা টুট্যাং মহামূল্যবান প্রাণী বলে অপ-প্রচার চালিয়ে তা সংগ্রহ করে এবং ওই চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে তা সমতলে পাচার লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন সময় পুলিশসহ নিরাপত্তাবাহিনী হাতে হওয়ার অসংখ্য ঘটনাও রয়েছে। তারপরও থেমে নেই তক্ষক বা টুট্যাং পাচার।
১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় মানিকছড়ি থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে, উপজেলা জামতলা এক প্রভাবশালী ছাত্র নেতার বাড়িতে তক্ষক বেচা-কেনা হচ্ছে। এমন খবর পেয়ে থানার এস.আই রিটন কান্তি রায় সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে ওই ছাত্রনেতা(উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি) মো. হাফিজুর রহমান (৩৩) এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি তক্ষক ও এক নারী পাচারকারীসহ মোট ৫ ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষক হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন।
আটককৃতরা হলেন, মো. হাফিজুর রহমান (৩৩),পিতা- মো.ইউনুছ মিয়া, মো. বেলাল হোসেন (৩২) পিতা- আমজাদ হোসেন,কাঞ্চন মালা (২৬) স্বামী মোখলেচুর রহমান সর্ব সাং গচ্ছাবিল,মানিকছড়ি ও সুবির গুপ্ত (৪২) পিতা নিবাস গুপ্ত, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম এবং স্বপন কান্তি নাথ(৪৫) পিতা- মনিন্দ্র লাল দে, ভুজপুর,ফটিকছড়ি। বিকালে উপজেলার গাড়িটানা বনবিভাগের ফরেস্টার মো. আনোয়ার হোসেন এর উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত তক্ষক বা টুট্যাংটিকে থানার পার্শ্বে অবমুক্ত করা হয়। অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একটি সংঘবদ্ধচক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বন্যপ্রাণী তক্ষক বা টুট্যাং পাচার করে আসছিল। আজ ১৫ এপ্রিল সেই চক্রের ৫ সদস্যকে হাতে-নাতে আটক করা হয়েছে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রুজু করেছে।