• December 12, 2024

মানিকছড়িতে দূর্গাপুজায় সম্প্রীতির বন্ধনে একাকার, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার আসেন পরিদর্শনে

স্টাফ রিপোর্টার: সনাতনী ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ দূর্গোৎসবের আজ মহানবমী। সকাল থেকে মানিকছড়ি উপজেলার তিনটি মন্ডবে মন্ডবে পূজারী শিশু-কিশোর,তরুণ-তরুণী,বৃদ্ধ-বনিতার পাশাপাশি সকল ধর্মের জনতার পদভার মূখরিত ছিল মন্দিরগুলো। দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধাপে ধাপে মন্দিরে আসতে থাকেন জনপ্রতিনিধি,প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এতে পুরো মন্দিরের চিত্রে ভেসে উঠে সম্প্রীতির বন্ধন। আহ্ এ যেন বাঙ্গালীর মিলনস্থল।

পূজা মন্ডব ঘুরে দেখা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার প্রাচীন জনপদ মংরাজ বাড়ীর অদূরে মংরাজ বাজারে প্রতিষ্ঠিত শ্রী শ্রী রাজ শ্যামা কালি মন্দিরের বিশাল হল রুমে আয়োজিত দূর্গোৎসবে জমকালো আয়োজনে এবার অনুষ্টিত হচ্ছে দূর্গাপুজা। এছাড়া একসত্যা পাড়া কালি মন্দিরেও দৃষ্ঠিনন্দিত কারুকাজে সাজানো হয়েছে মুর্তিগুলোকে। অপরদিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির সড়কের পাশে তিনটহরী বাজারস্থলে হিন্দু পাড়ায় বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে চলছে দূর্গাপুজা। পূজার আয়োজনে কেউই ঘাটতি রাখেনি।

সর্বোচ্চ ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সাজানো আসনে অধিষ্ঠিত দূর্গার আরাধনায় ও প্রার্থনায় বেতিব্যস্ত পূজারীরা। হর্তাকর্তারা প্রার্থনার ফাঁকে ফাঁকে অতিথিদের সাদর-সম্ভাষণে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন এর নেতৃত্বে পূজামন্ডবে আসেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীসহ অতিথিরা একে একে শ্রী শ্রী রাজ শ্যামা কালি মন্দির,একসত্যাপাড়া কালি মন্দির ও তিনটহরী কালি মন্দিরে গিয়ে দূর্গাপুজা মন্ডব পরিদর্শন করেন।

রাত ৮.৫০ মিনিটে মানিকছড়ি রাজশ্যামা কালি মন্দিরে আসেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান, এএফডব্লিউসি,পিএসসি,জি। এ সময় অতিথি’র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সিন্দুকছড়ি সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. তৌহিদ সালাহউদ্দীন, জিএসও টু মেজর মইনুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্নাা মাহমুদ,অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান, এএফডব্লিউসি,পিএসসি,জি মন্দিরে আসার পর মন্দির ও পূজা উদযাপন পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তারা স্বদলবলে তাকে বরণ করে নেন।

পরে অতিথি দূর্গোৎসবে জনস্রোত দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেন করে বলেন, ধর্ম যার যার,উৎসব সবার। বাঙ্গালীরাই পারে সম্প্রীতির বন্ধন’কে আকঁড়ে ধরতে এবং চিরস্মরনীয় করে রাখতে। পাহাড়ে এমন সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকুক এবং সুদৃঢ় হোক এটাই সকলের প্রত্যাশা। বিদায়লগ্নে অতিথি পূজামন্ডব কমিটির হাতে নগদ ১০হাজার টাকা তুলে দেন।

এদিকে রাত যতই বাড়ছে ততই মন্দিরগুলোতে রাড়ছে পূজারী ও দর্শনার্থীর ভীড়। আর নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে বাহিরে সেনাটহল জোরদারসহ মন্ডবস্থলে রয়েছে পুলিশ,আনসার সদস্যদের কড়াপ্রহরা। বিশেষ করে কেউ যাতে ভীড়ে এসে দর্শনার্থীদের পদচারণায় যামেলা কিংবা পকেটমারা থেকে সবাইকে মুক্তি রাখতেই সর্তক রয়েছে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত বাহিনীর সদস্যরা। রাত পোহালেই মহাদশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার দুপুরের পর সনাতনীদের‘মা দূগা’কে অশ্রুসজল নয়নে বিসর্জন দেয়া হবে। অফিসার ইনচার্জ মো. আমির হোসেন জানিয়েছেন, উপজেলার তিনটি দূর্গোৎসবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শুরু থেকে দূর্গা বিসর্জন দেয়া পর্যন্ত পুলিশ নরজদারী রাখছে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post