মানিকছড়িতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছাত্র রক্তাক্ত
মানিকছড়ি প্রতিনিধি: মানিকছড়ির কালাপানি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বেদম প্রহারে রক্তাক্ত করেছে সুপার মো. আমানত খান! আহত ছাত্রকে হাসপাতালে খর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত সুপারকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে পরিচালনা কমিটি।
আহত ছাত্র ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে. উপজেলা অজপাড়া কালাপানিতে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় একমাত্র ইসলামিয়া দাখিলটি শিক্ষার আশ্রয়স্থল। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে ঘিরে ২৫ মার্চ দিন ব্যাপি মাদ্রাসায় ছেলে-মেয়েরা খেলাধূলায় করছিল। এক পর্যায়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র মো. এনামুল হক সহপাঠির সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে সুপার মো. আমানত খান মো. এনামুল হক’কে রুমে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করেন। দরজা বন্ধ করে বেদম প্রহারে ছাত্রটির মাথা,মূখমন্ডল, পিঠ রক্তাক্ত হয়ে যায়! ছাত্রের চিৎকারে সহপাঠি ও দোকানের লোকজন ছুঁটে এসে শক্তি প্রয়োগ করে দরজা খুলে ছাত্রটিকে দ্রুত মানিকছড়ি হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। এ খবর জানাজানির পর আহত ছাত্রের পিতা ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীনকে জানান। পরে চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ছেলেটিকে দেখে চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং অভিযুক্ত সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটিকে অনুরোধ করেন। পরে বিকালে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি জরুরী বৈঠকে বসেন এবং অভিযুক্ত সুপারকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা পরিচঅরনা কমিটির সভাপতি ডা. মো. রমজান আলী সত্যতা স্বীকার বলেন, অভিযুক্ত সুপারের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাকে বাববার সর্তক করা স্বত্তেও সে শিক্ষকসূলভ আচরণ না করা এবং বেআইনিভাবে শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করার ঘটনায় কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সুপর মো. আমানত খানকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।