মানিকছড়িতে সেচ প্রকল্পে নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ
আবদুল মান্নান,মানিকছড়ি: মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউপি’র বড়বিল গ্রামের ধান্য জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সেচনালা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে নিন্মমানের ইট ও কংক্রীট ব্যবহার করায় স্থানীয় কৃষকরা সম্প্রতি কাজ করে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বড়বিল গ্রামের এ বিলে প্রায় ৫০একর ধান্য জমি পানি সেচের অভাবে বছরে মাত্র একবার চাষাবাদ করা হয়। পাশ্বে নদী থাকা সত্বেও সেচনালার অভাবে দরিদ্র কৃষকরা আউশ,আমন,বোরো চাষ করতে না পারায় প্রতিনিয়ত অভাব অনটনে ভুগছে। দীর্ঘ দিন ওই জমির চাষীরা সেচনালা নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও প্রকল্প ব্যয় বেশি হবে বিধায় উপজেলা কিংবা জেলা পরিষদ বিষয়টি আমলে নেয়নি। অবশেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কৃষকের ন্যায্য দাবী আমলে নিয়ে উক্ত বিলের চারিপাশে ৩হাজার৫শত ফুট সেচনালা নির্মাণে দুই কিস্তিতে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দিয়ে টেন্ডার আহব্বান করেন। এতে খাগড়াছড়ির ঠিকাদার মো. জহিরুল ইসলাম কাজ প্রাপ্ত হয়। যথাসময়ে সরজমিনে কাজ শুরু হয় এবং কাজের সিংহভাগ শেষ করার পর এলাকাবাসীরা কাজে নিন্মমানের ইট ও কংক্রীট ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রতিবাদ করেন।
ঘটনাচক্রে গত ১২ ফেব্রুয়ারী বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন ওই জনপদের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রতিবাদী লোকজন বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের নজরে আনেন। এতে সরজমিনে দেখা যায় কাজে ২ ও ৩ নম্বর ইট এবং নিন্মমানের কংক্রীট ব্যবহার হচ্ছে! যার ফলে নেতৃবৃন্দ কাজের গুনগতমান নিরুপণ করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ প্রকৌশলী সরজমিনে তদন্ত না করা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করেন। এর পর হতে উক্ত সেচনালা নির্মাণ কাজটি বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মো. জহিরুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, কাজটি প্রাপ্ত হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালী ঠিকাদাররা(নেতা)কাজটি বিক্রি করতে অনুরোধ করেছিলেন। আমি তা না করায় অহেতুক আমাকে অপবাদ দিতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।