স্টাফ রিপোর্টার: সমতলের পর্যটকদের কাছে পাহাড় বরাবরই পছন্দের। বিশেষ করে পাহাড়ি আকাবাকা সড়ক, সবুজ বিস্তৃর্ণ পাহাড় আর ঢেউ খেলানো আকাশ সমতলের ভ্রমণ পিপাসু
ইতোমধ্যে সম্ভাবনাময় এই পার্কটিকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ঘোলঘর, লেকে ঘুরে বেড়ানোর সড়ক, দৃষ্টিনন্দন তোরণ, ট্যুরিস্ট সেন্টার, ওয়াশ ব্লক, ট্রি-হাউজ, লেকের পানিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নৌকা ও সূর্যাস্তগামী উপভোগের জন্য সানসেট পয়েন্ট (গোধুলী) নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও রাত্রীযাপনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দুটি কক্ষ বিশিষ্ট্য একটি রিসোর্ট। এক কথায় পর্যটক বান্ধব স্থাপনা ও নানা সুবিধার্থে সেঁজে উঠেছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ‘ডিসি পার্ক’। পার্কটিকে আরো আকর্ষণীয়, পর্যটন-প্রকৃতি বান্ধব করার লক্ষে বর্তমান জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান’র নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১শ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় প্রায় ২৫ হাজার ফলদ, বনজ ও বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধী গাছ রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী।২৩ আগস্টবুধবার বিকেল ৪টায় একটি বটগাছ, একটি কোরপুর ও একটি বক্স বাদাম গাছ রোপনের মধ্য দিয়ে উক্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। এ সময় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমাউন কবির, জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাঈন উদ্দিন, বাটনাতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিমসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৃক্ষরোপন শেষে প্রায় বিশ একর জায়গায়কে পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক। যেখানে বিনা অনুমতিতে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না। তাছাড়া সেখানে সুবিধাজনক স্থানে ১০০টি মাটির হাড়ি বসানো হয়েছে। যাতে পাখিরা সেখানে বাসা তৈরি করে থাকতে পারে।
পরে ২নং বাটনাতলী ইউনিয়ন পরিষদে ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত অস্বচ্ছল সদস্য পারভীন আক্তারকে জেলা প্রশাসকের নিজস্ব অর্থায়নে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে একটি সেমিপাকা গৃহ প্রদান করেন।