মানিকছড়ির যোগ্যাছোলা ইউপি নির্বাচনে ভোটের মাঠে প্রার্থীরা
মো: আলমগীর হোসেন: মানিকছড়ি উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থরা। আগামী ২৫ জুলাই বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যোগ্যাছোলা বাজার, ইউনিয়ন, গ্রাম মহল্লায়, চায়ের আড্ডায়, সামাজিক অনুষ্টানে এখন নির্বাচনের আমেজ। প্রার্থীদের দোষ-গুন, বংশ পরিচয়, ভালো-মন্দ, কর্মকান্ড নিয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষন চলছে। আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। হচ্ছে প্রার্থীদেও সমালোচনাও। সাধারণ ভোটারারা ভেবে-চিন্তে ভোটটি সঠিক জায়গায় দিতে ভুল করবে না এমন ধারনা সাধারণ জনগনের। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বনদ্ধিতা করছেন ৩জন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়বেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী ক্যয়জরী মহাজন। তিনি অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য। বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দিন। এছাড়াও মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলমাছ। তার প্রতীক আনারস।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী: নৌকা র্মাকা নিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ক্যয়জরী মহাজন, অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য। আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট চাইছেন। সরকার দল আওয়ামীলীগ একক প্রার্থী হিসাবে পুরো উপজেলা দলের সম্মান আত্মমর্যাদা নিয়ে এইবারের যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন নৌকায় মার্কা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে এলাকার উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রার্থী আশাবাদী এলাকার আওয়ামীলীগ কর্মীরা নিজেরাই যদি সঠিভাবে ভোট প্রদান করে এবং উপজাতীয় ভোট ব্যাংক থেকে তার পাল্লায় ভাড়ি হলে বিজয় নিশ্চিত। তবে আওয়ামীলীগ কর্মীরা মনথেকে কাজ করতে হবে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন। সাম কুমার ত্রিপুরা বলেন, আওয়ামীলীগ একক প্রার্থী হিসাবে ৯টি ওয়ার্ডে ব্যাপক সাড়া আছে এবং বিপুল ভোটে বিজয় হবে। ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মোঃ তৈয়ব আলী বলেন, আমি আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করি শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের ভোট গুলি যদি সঠি ভাবে নৌকা মার্কায় দেন। গাড়ীটানা স্থায়ীবাসিন্ধা ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল আফছার শামীম বলেন গরমছড়ি থেকে কালাপনি নতুন বাজারসহ পুরো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ প্রার্থীর জন্য সকল আওয়ামীলীগ কর্মীরা কাজ করে যাবে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নির্দেশে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
বিএনপির প্রার্থী: মানিকছড়ি উপজেলা ও জেলা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ জামাল উদ্দিন। তিনি আব্দুল জব্বারের ছেলে নামে ডাকে যতেষ্ট সুনাম আছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল (বিএনপি) র ধানের শীষ মার্কা নিয়ে এলাকায় প্রচারণা চলছে বেশ জোড়ে-সোড়ে। প্রাবীন বিএনপির নেতা যোগ্যাছোলা কালাপানির স্থায়ী বাসিন্ধা এনামুল হক এনাম মেম্বার বলেন এই ইউনিয়নে বিএনপির সর্মথন বেশি বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি ওয়ার্ডে -ওয়ার্ডে আন্তরিকতার সহিত ধানের শীষ মার্কার জন্য কাজ করেন এবং নিজ দায়িত্বে ধানের শীষ মার্কায় বিএনপির কর্মীরা ভোট দেন তা হলে বিএনপির বিজয় অবশ্যই। এবং একই দলের সতন্ত্র প্রার্থী মো: আমির হোসেন নিজের দলের লোকের সাথে বিদ্রহ না করে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মী ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়াকে সম্মান জানিয়ে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে ধানের শীষ মার্কার জন্য ভোট চাইছেন। ধানের শীষ মার্কাকে বিজয়ী করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ধানের শীষ মার্কার প্রস্তাবকারী শেরখান বাহাদুর বলেন এই ইউনিয়নে বিএনপির সমার্থন বেশি তাই বিএনপি ও ধানের শীষের ভোট বেশি। বিএনপির সকল নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে ধানের শীষ বিজয় নিশ্চিত।
স্বতন্ত্র প্রার্থী: মোহাম্মদ আলমাছ ডাক্তার, পিতা- মো: আবদুর রাজ্জাক, নিজের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি বিএনপিকে ভালোবেসে গেছি। আমার শশুর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লার আর্দশ ও প্রাণ প্রিয় নেতা ওয়াদুদ ভুইয়ার আদেশ র্নিদেশ মেনে দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনৈতিক ছায়া তলে ছিলাম। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনারস মার্কায় প্রার্থী হওয়ায় আমাকে দল থেকে বহিস্কার করেছে শুনেছি। স্বতন্ত্র প্রার্তীর প্রস্তাবকারী শামসুল হক বলেন সাধারন জনগন এখন আওয়ামীলীগ -বিএনপি সকল নেতাকর্মীকে হারে হারে চিনেছে। সাধারন জনগন স্বেচ্ছায় তাই সাধারণ জনগন এখন ভালো লোককে ভোটে জয় যুক্ত করতে আনারস মার্কায় ভোট দিবেন। নির্বাচন অফিস সুত্র মতে যোগ্যাছোলা ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮ হাজার ৮৪৩জন।