মাননীয় উপদেষ্টার বন্যাদূর্গত এলাকার পরিদর্শন ও যৌথ চিকিৎসা সেবা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২০ আগস্ট হতে ফটিকছড়ি উপজেলায় বেশিরভাগ অংশ বন্যায় পানিতে নিমজ্জিত ছিল। শনিবার মাননীয় উপদেষ্টা, দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, ফটিকছড়ি উপজেলার টোনাগাজী বন্যাদূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি এবং বন্যা পরবর্তী পূনর্বাসন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। গুইমারা রিজিয়নের অধিনস্থ লক্ষীছড়ি জোনের সেনাসদস্যরা গত ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখ হতে বন্যাদূর্গত মানুষদের জন্য মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা এবং ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রমকে মাননীয় উপদেষ্টা ভূয়সী প্রশংসা করেন। মোতায়েনকৃত সেনাসদস্যরা মাননীয় উপদেষ্টাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করেন এবং মাননীয় উপদেষ্টা হারুয়ালছড়ি এলাকায় বন্যাদূর্গতদের মাঝে ত্রান বিতরণ করেন।
এদিকে বন্যার ফলে বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধির সংক্রামনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্যে পাওয়া অতিব প্রয়োজন হয়ে ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতে গুইমারা রিজিয়নের অধিনস্থ লক্ষীছড়ি জোনের পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন আদনান রফিক এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম এবং ফটিকছড়ি ডক্টরস্ এ্যাসেসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ডা. প্রীতি বড়ুয়ার নেতৃত্বে আরেকটি বিশেষ মেডিকেল টিম যৌথভাবে ফটিকছড়ি উপজেলায় নারায়নহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করে।
ফটিকছড়ি ডক্টরস্ এসেসিয়েশন এর মেডিকেল টিমে ডা. প্রীতি বড়ুয়া (গাইনি বিশেষজ্ঞ) এবং ডা. জয়নাল (শিশু বিশেষজ্ঞ) সহ মোট ২০ জন চিকিৎসকের সাথে মেডিকেল সহকারী, নার্স এবং সেচ্ছাসেবক সহ সর্বমোট ৫০ জনের মেডিকেল টিম সেখানে সেবা প্রদান করে। উক্ত চিকিৎসা সেবায় ৫০০-৬০০ জন সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পায়। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তাদেরকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়। এই যৌথ উদ্যোগে চিকিৎসা সেবার ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষ আবার আশার আলো ফিরে পায়।