রাঙামাটিতে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির জরুরী বৈঠক
রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪অক্টোবর বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন পাশ এবং কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং সংক্রান্ত বিষয় এবারের বৈঠকে গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে অংশ নেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদূর ঊশৈসিং এমপি, রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিয়া রহমান খান, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব কাজী আনোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সিনিয়র সহকারি সচিব হুমায়ন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বৈঠক শেষে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ওইদিন দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মুখোমুখি হোন এবং নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, গত এক দশকের বেশি সময় ধওে অব্যাহতভাবে লোকসানে থাকা কর্ণফুলী পেপার মিল অব্যবস্থাপনার কারনেই এতদিন লাভের মুখ দেখেনি। তাই মিলটাকে সংস্কার এবং আরেকটি নতুন মিল তৈরির ঘোষণা প্রদান করেন এ এমপি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইন পাসের ব্যাপারে নিয়ে তিনি আরও জানান, আমরা সংসদীয় বৈঠকে এ ব্যাপারে আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে জোর সুপারিশ করেছি। এমপি মোকতাদির বলেন, কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং করা খুবুই জরুরী। এ এলাকার মানুষেরর দীর্ঘদিনের দাবি হ্রদটি ড্রেজিং করা। তাই দ্রুত যেন হ্রদটি ড্রেজিং করা যায় সে ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। শান্তি চুক্তির বিষয়ে এমপি আরও জানান, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময় নিয়ে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদূর ঊশৈসিং এমপি বলেছেন, আমাদের কমিটির এটাই শেষ বৈঠক। আমরা চলতি সংসদে আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করেছি ভূমি অধিগ্রহণ আইনটি যেন দ্রুত পাশ করে বাস্তবায়ন করা হয় এবং ভূমি অধিগ্রহণের সময় প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি যেন নজরে আসে সরকারকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে।
রাঙামাটি ২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, বৈঠকে আমরা পার্বত্য চুক্তি নিয়ে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছি। পরবর্তীতে আমাদের দাবি নিয়ে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।