• October 7, 2024

রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল কার্যক্রম আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

 রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল কার্যক্রম আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা, রামগড়: বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত খাগড়াছড়ি পার্বত্যাঞ্চলের প্রথম রামগড়ে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল কার্যক্রমের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আজ  ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি ভার্চুয়ালি এর শুভ উদ্বোধন করবেন।
রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. সারওয়ার আলম প্রতিনিধিকে জানান, প্রধানমন্ত্রী ১৪ নভেম্বর ভার্চুয়ালি ‘ রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল শুভ উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস থেকে যাবতীয় কার্যক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে।
রামগড়  স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দায়িত্বরত ইনচার্জ আবতাব উদ্দিন বলেন, ১৪ নভেম্বর  শুভ উদ্বোধনের বিযয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
ইতিমধ্যে স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড় মহামুনি এলাকায় ১.৯ মিটার দৈর্ঘে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের সেতু নিমার্ণ করেছে ভারত। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত এ সেতুটি ২০২১ সালের ৯ মার্চ দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন এবং ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবন ও চেক স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কিছু লোকবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রামগড় স্থলবন্দরটি পুরোপুরি চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একইসঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, চিকিৎসাসহ পর্যটনে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নতি সাধিত হবে।
রামগড় পৌর মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের কার্যক্রম  উদ্বোধনের মাধ্যমে চালু হচ্ছে জেনে আমরা অত্রএলাকার জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে আশার আলো দেখছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন বলেন, অনেক প্রতীক্ষার পর রামগড় স্থলবন্দর এর কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য এই বন্দর খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির পথ সুগম হবে। এবং সর্বোপরি চিকিৎসা সেবা প্রার্থি ও পর্যটকদের জন্যও এ বন্দরের উদ্বোধন ব্যাপক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী বলেন, পার্বত্য  চট্টগ্রামের জনসাধারণসহ পুরো দেশ এই বন্দরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। পুরোদমে কাজ শেষ হলে দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সার্বিক যোগাযোগ সুবিধা বাড়বে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post