রামগড়ে অপহৃত ২ জনকে মুক্তিপনে ছেড়ে দিয়েছে ইউপিডিএফ
রামগড় প্রতিনিধি: রামগড়ে চাঁদার দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ’র প্রসীত গ্রুপের হাতে অপহৃত ফেনীর জুয়েল ট্রেডাসের বিক্রয় প্রতিনিধি মঞ্জুরুল হক (৩৭) ও ফিটিংস মিস্তি মো. রাজু রহমান (১৯) কে ১মাস ২দিন পর মুক্তিপণের বিনিময়ে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার কলেজ সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী পাহাড়েরর পাশে ছেড়ে দেয় ইউপিডিএফ । অপহৃত মঞ্জুরুল চট্টগ্রামের পাহাড়তলী মাষ্টার লেন খুলশী থানাধীন ওবায়দুল হকের ছেলে ও রাজু রহমান নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার পূর্বচর মটুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
ফেনীর জুয়েল ট্রেডাসের মালিক মেহেদী হাসান জুয়েল ও অপহৃতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অপহৃতদের উদ্ধারে প্রশাসনিক ও আইন-শৃংখলা যৌথবাহিনীর সহযোগীতার পাশাপাশি ইউপিডিএফ’দের সাথে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে দীর্ঘ ১ মাস ২ দিন পর অপহৃতদের ছেড়ে দেয়া হলে তারা নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসেন। গত ২৩ আগষ্ট দুপুরে জুয়েল ট্রেডাসের প্লাষ্টিকের দরজা নিয়ে পিকাপ যোগে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে রামগড়ের যৌথখামার এলাকা থেকে তারা অপহরণের স্বীকার হন।
অপহৃতরা এ প্রতিনিধিকে বলেন, জুয়েল ট্রেডাসের সাথে ইউপিডিএফের পূর্বের চাঁদার লেনদেন সমস্যার কারণে তারা অপহরণের স্বীকার হয়েছিলেন। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর জুয়েল ট্রেডাস ৩ লক্ষ টাকা ও আমাদের ২ পরিবার মিলে ২ লক্ষ টাকা সহ ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে তারা জানান, জুয়েল ট্রেডাসের মালিকের সেচ্ছাচারিতায় তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সহ জীবন নাশের হুমকীতে পড়েন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার রামগড় থানার সাব-ইন্সপেক্টর মুজিবুর রহমান জানান, অপহৃতদের উদ্ধার করে রামগড় থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অপহৃতদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মনির হোসেন জানান, ঘটনার পর গাড়ী চালক মিজানুর রহমান রামগড় থানায় বাদি হয়ে মামলা করলে পরবর্তীত্বে অপহৃতদের উদ্ধারের পর আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি নেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দি নেওয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।