রামগড়ে অবরোধ থেকে সিএনজি চালককে গুলি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠনের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ চলাকালীন সময়ে রামগড়েতহর কলাবাড়ী নামক স্থানে সিএনজি চালককে গুলি করেছে অবরোধকারীরা। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দুটি সিএনজি গাড়ী কলাবাড়ী এলাকায় পৌঁছলে অবরোধকারীরা গুলি করলে চালক শরিফুল ইসলাম (২২) গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় গাড়ী দুটি ভাংচুর করলে পাথরের আঘাতে ৭ মাসের এক শিশুকন্যাও আহত হয়। শরিফুল নাকাপা মধুপুর গ্রামের মমিনুল হকের সন্তান বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ শরিফুলকে উদ্ধার করে রামগড় হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রতন খীসা জানান, গুলিটি গলায় লাগে এবং ভিতরে রয়েছে এতে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, অবরোধে পুলিশ সক্রিয় ছিল। গুলিবিদ্ধ ও ভাংচুরের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং টহল বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, সিএনজি চালক শরীফুলকে গুলির ঘটনায় রামগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। এসময় সংগঠনটির কর্মসূচিতে একাতœতা প্রকাশ করেছে রামগড় সিএনজি চালক সমিতির লোকজন। সন্ধ্যায় রামগড় বাজারের প্রানকেন্দ্র বাজার চত্বরের সামনে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রামগড় শাখার সদস্য সচিব রায়হানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির জেলা শাখার তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ও রামগড় শাখার আহবায়ক মো: সাইফুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যর মধ্য আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির রামগড় শাখার যুগ্ন আহবায়ক শিহাব রহমান, রামগড় সিএনজি চালক সমিতির নেতা জয়নাল আবদিন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টা সময় বেধেঁ দিয়েছেন। উক্ত সময়ের মধ্য আসামীদের গ্রেফতার করা না হলে পার্বত্য বাসীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারিও দেন তারা।