• July 27, 2024

রামগড় থেকে বাবরের চিকিৎসা ব্যয়ে ১০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর

সাইফুল ইসলাম, রামগড়: গ্রিন ইউনিভার্সিটিপতে পড়াকালীন “স্কুল অব লাইফ” প্রতিষ্ঠাকারী স্বপ্নবাজ তরুন এবং ঢাকার মিরপুরের বেসরকারী টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এর চিকিৎসার ব্যয়ে রামগড় থেকে ২৬ মার্চ সোমবার রাত ১০টার সময় রামগড় পাহাড়াঞ্চল গবেষণা কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাবর ও তাঁর ঢাকার বন্ধুদের হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ আহসান উল্যাহ ও রামগড়ের বন্ধুরা।

জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর দুরারোগ্য “মোটো নিউরো ডিজিজ (এমএনডি)” রোগে  আক্রান্ত। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া মাত্র ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসার জন্য ভারত যাবেন। “মোটো নিউরো ডিজিজ (এমএনডি)” রোগের চলমান চিকিৎসা থেরাপি দিতে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে। যা ইতিমধ্যে রামগড় থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং রামগড়ের বাহিরে দেশ-বিদেশ থেকে আরো আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেছে তবে বাবরের চলমান চিকিৎসায় আরো অর্থ প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুরা।

রামগড়ের মেধাবী পিতৃহারা সন্তান বাবরের পক্ষে এতোবড় অংকের টাকা ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ায় মাসব্যাপি বন্ধুত্বের বিরল দৃষ্টান্ত নিয়ে এগিয়ে আসেন রামগড় ও ঢাকার বন্ধুরা। যাদের ক্লান্তিহীর চেষ্টার বাবর নতুন করে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন তারা হলেন, রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ আহসান উল্যাহ, মিঠু পাটোয়ারী, রায়হান, জাকির, রবিন, শ্যামল, সোহাগ, মাঈন উদ্দিন, ইমন, ফরহাদ, শাফিন, হৃদয়, সোহরাব, বাপ্পি, সাইফুল, রানা, আরিফ, রানা, আসিফ মুন্না, তাহের, জিতু, সবুজসহ নাম না জানা আরো অনেকেই। বাবরের চিকিৎসা ব্যয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যারা হাত বাড়িয়েছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাবর ও তাঁর বন্ধুরা।

এদিকে, বাবরের চিকিৎসার চলমান ব্যাংক হিসাব নং ও বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক একাউন্ট- মোঃ জহির উদ্দিন বাবর, হিসাব নং- ২০৫০২৪০০২০২৬৬৭৫০১, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, খিলগাঁও শাখা, ঢাকা। এবং মোহাম্মদ রায়হান, হিসাব নং- ৫৪২২১০০০০৭২৩৬, সোনালী ব্যাংক, রামগড় শাখা, খাগড়াছড়ি। বিকাশ- ০১৮২৩২৫৬৩৮৪ (পার্সোনাল), রকেট- ০১৮২৩২৫৬৩৮৪৫।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post