লকডাউন বাস্তবায়নে খাগড়াছড়িতে কঠোর প্রশাসন, ২৪ ঘন্টায় ৩৯জন করোনা শনাক্ত
স্টাফ রিপোর্টার: করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন খাগড়াছড়িতে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। ১জুলাই সকাল ৬টা হতে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নামে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। মাঠে রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট থাকলেও তা বসতে দেয়া হয়নি।
সকল ধরণের ইঞ্জিনচালিত যানচলাচল বন্ধ রাখতে টহল দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে আসলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
জেলা সদর মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপরদিকে ৯টি উপজেলায় কাজ করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আইন অমান্য করায় দুপুর পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর জোনের ক্যাপ্টেন মো.ফাহিম ফয়সাল শামীম সাংবাদিকদের জানান,‘ সরকারে প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। প্রজ্ঞাপনে যাদের চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে আমরা কেবল তাদেরকে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছি। এর বাইরে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া জেলা শহরের চেক পোস্ট বসিয়ে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ মাহমুদ জানান, খাগড়াছড়ির প্রতিটি প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নের জেলা সদর ছাড়াও ৯ উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। শহরের ইজিবাইক,মোটর সাইকেলসহ ইঞ্জিন চালিত সকল যানবাহনের চলালচ সীমিত করা হয়েছে। আইন ভঙ্গ করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনের নিয়মনীতি মেনে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে খাগড়াছড়িতে করোনা শনাক্তের হারে রের্কড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ৯৫ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪১.০৫%। এর আগে সোমবার খাগড়াছড়িতে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩১ শতাংশ। যা ছিল সর্বোচ্চ। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মাটিরাঙায় ৩ জন, রামগড়ে ৫ জন,লক্ষীছড়িতে ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি সদরে ২৪ জন।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশ জানান, জেলা সদরের পাশাপাশি কয়েকটি উপজেলায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। লক্ষণ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষার অনুরোধ জানান তিনি।