• July 27, 2024

লক্ষীছড়িতে এবার জমেনি পশুর হাঁট, হতাশায় ইজারাদার

 লক্ষীছড়িতে এবার জমেনি পশুর হাঁট, হতাশায় ইজারাদার

স্টাফ রিপোর্টার: খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার এবার কোররবানিকে সামনে রেখে একমাত্র পশুর হাঁট জমে ওঠেনি। রাত পোহালেই কুরবানীর ঈদ। পশু কিনতে বাজারে এসেছেন বেশ কয়েকজন ক্রেতা। কিন্তু হাঁটে গুরু না পেয়ে ফিরে যান। এ চিত্র লক্ষীছড়ি বাজারের কয়েক সপ্তাহ ধরেই। এ অবস্থায় ইজারাদাররা পরেছে বিপাকে। বাজার ডাকের পূজিঁ ওঠানো দায় হয়ে পরবে। লক্ষীছড়ি বাজারে সপ্তাহে ২দিন হাঁট বসে। রোববার হলো সাপ্তাহিক বড় বাজার।

বাজার কর্তৃপক্ষ কোরবানীকে সামনে রেখে শনিবার বড় হাঁট বসবে বলে ঘোষণা দেয়- লক্ষ্য কোরবানির পশুর হাঁট জমানো। কিন্তু না। সকাল ১১টার দিকে বাজারে গিয়ে দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকটা গরু রয়েছে। সকাল থেকে মাত্র ১টা গরু বিক্রি হয়োছ। হাসিল আদায় হয়েছে ২হাজার ৫০০টাকা। সারা দিনে কত টাকা হাসিল আদায় হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে গরু বাজার সাব ইজারাদার রাসেল জানায়, সর্বোচ্চ ৫০০০-৭০০০হাজার টাকা। সাধারণত গরুর হাঁট থেকে কোরবানির সময় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা আয় হওয়ার কথা। কিন্তু এই সম্ভাবনা তো দুরের কথা কাছা-কাছি অংকের টাকাও এবার আয় হবে না। তাঁর ২লাখ টাকা ক্ষতি হবে বলে জানান। রাসেল আরো জানায়, ৪লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে সাব ডাক নিয়েছেন। পূঁজি উঠিয়ে আরো অতিরিক্ত এক থেকে দেড় লাখ টাকা কমপক্ষে আয় হওয়ার কথা। কারণ জানাতে চাইলে রাসেল জানায়, বাজারে এসে ক্রেতা-বিক্রেতারা নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। একটি গরু বাজারে আনার সময় কিংবা বিক্রি করে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজদের কবলে পড়[তে হয়। চাঁদা না দিলে নানা ভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। একটি গরু বিক্রি থেকে ৫ হাজার থেকে ১৫হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় বলে জানায় বাজার ইজারাদার।

এদিকে লক্ষীছড়ি বাজারে এই নিয়ে তর্কে জড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। তবে বাজারের লোকজনের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের ঘটনার সূত্রপাত হয় নি। অভিযোগ ওঠেছে উপজাতীয় সংগঠনগুলো নানা ভাবে ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা আদায় করছে। এসব কারণেই গুরুর মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে লক্ষীছড়ি বাজার এড়িয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলার বাজারগুলোকে বেঁছে নিয়েছে।

জানা যায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে পার্বত্য জেলা পরিষদ লক্ষীছড়ি বাজারে প্রায় ১৬লাখ টাকা নগদ আদায়ে ইজারা দেয়। নিয়মিত প্রতিবছর ইজারা আদায় করলেও লক্ষীছড়ি বাজারের তেমন কোনো উন্নয়ন নেই বলেই চলে। লক্ষীছড়ি উপজেলার একমাত্র বাজারটি উন্নয়ন ও স্বাভাবিক অবস্থা বাজয় রাখতে প্রশাসনসহ সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগিরা।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post