লক্ষীছড়ি-ফটিকছড়ি সংযোগ সড়ক সংস্কার দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি: সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেছে ফটিকছড়ি-লক্ষীছড়ি উপজেলা সংযোগ সড়কটি। দুই উপজেলার সাথে সংযোগকারী এ সড়কটি সর্বশেষ ২০০৭ সালে কার্পেটিং করা হয়। এর দীর্ঘ বছর অতিক্রান্ত হলেও মাঝে মাঝে গর্ত ভরাট করা ছাড়া রাস্তাটি আর সংস্কারের মুখ দেখেনি।
ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে সড়কটি পৌর সদরের উত্তর রাঙামাটিয়া, ছল্যার দোকান, কাঞ্চননগর ইউপির পূর্ব কাঞ্চননগর, তেমুহনী, ছমুরহাট মানিকপুর হয়ে পার্শ্ববর্তী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলা সদরের সাথে একমাত্র সংযোগকারী সড়ক। এলজিইডির আওতাধীন দীর্ঘ ১৬ কি.মি রাস্তাটির ১৩ কি.মি. ফটিকছড়ি অংশ ও বাকিটা লক্ষীছড়ি উপজেলার আওতাধীন।
কিন্ত ফটিকছড়ির ভেতরের ১৩ কি.মি. রাস্তার মধ্যে ৩ কি.মি. রাস্তাও বর্তমানে ভালো নেই। অসংখ্য খানাখন্দকে ভরা সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচল করছে। অথচ প্রতিদিন রাস্তাটি দিয়ে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হয়। সেই সাথে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অন্ত নেই। গত বন্যায় রাস্তাটির কয়েকস্থানে ভেঙ্গে যায়। রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত।
কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী কাতেব ব্যক্তিগত ব্যয়ে এসব ক্ষতিকর অংশগুলোতে ভাঙ্গা ইট ফেলে কোনরকম যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান। তিনি রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার দাবি করেছেন। রাস্তাটির ব্যাপারে এলজিইডির ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ইতোপূর্বে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে বলে জানান।