• November 4, 2024

লক্ষ্মীছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল গৃহহীন আরো ৪০ পরিবার

 লক্ষ্মীছড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল গৃহহীন আরো ৪০ পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না-মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে(২য় ধাপ) খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় আরো ৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

৯ আগষ্ট বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এম,পি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জমির দলিল হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া। এসময় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) ফেরদৌসী বেগম, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেম্রাচাই চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল ওহাব খন্দকার, আব্দুর রশিদ মোল্লা প্রমুখ।

এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) হোসনেআরা, থানার অফিসার ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভূইয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপকারভোগী, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও  জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ক্রইসাঞো চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিক শাহিনা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা বাঁশরি মারমা, মহিলা নেত্রী ফারহানা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদিকা অন্তরা খীসা উপস্থিত ছিলেন।

‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রকল্পের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায়” বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না ” মর্মে প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর মডেল কর্মসূচি হিসেবে বক্তারা উল্লেখ করেন। সারা দেশে ২২হাজার ১০১টি গৃহ ও জমি একযোগে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলায় ৫৮৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে নতুন গৃহ ও ভূমি প্রদান করা হয়েছে।

জানা যায়, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় মোট ১হাজার ২২০টি ঘর উপকারভোগিদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করা হয়। সূত্র জানায়, ১ম পর্যায় ৩২টি, ২য় পর্যায় ৭০০টি, ৩য় পর্যায় ২৬৮ এবং ৪র্থ পর্যায়ে ১ম ধাপে ১৮০ টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৪০ টি ঘর নির্মাণ শেষে এ পর্যন্ত সর্বমোট ১২২০টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

পরে প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এম,পি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় সেলাই মেশিন ও প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের মাধ্যমে ছাগল বিতরণ এবং নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্ম ভবন চত্তরে বৃক্ষ চারা রোপন করেন।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post