• December 11, 2024

লক্ষ্মীছড়িতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে চক্ষু শিবির

স্টাফ রিপোর্টার: `সুস্থ্য চোখে দেখি সুন্দর পৃথিবী” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় দুস্থ্য ও অসহায় মানুষের চোখে আলো ফিরে পেতে পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি (বিজেএকেএস), কুমিল্লা।

১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার লক্ষীছড়ি, মানিকছড়ি এবং ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তত ৩৫০ জন পাহাড়ি-বাঙ্গালীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতি, কুমিল্লা এর সহায়তায় চোখের ছানি অপারেশন করা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্যে ২৬ জন দরিদ্র চক্ষুরোগীকে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হয়। চোখের ছানি অপারেশন এবং উন্নত চিকিৎসা শেষে ২১ অক্টোবর জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি (বিজেএকেএস), কুমিল্লা এর তত্ত্বাবধানে লক্ষীছড়ি পৌছে দেয়া হবে এবং পরবর্তী ২৬ জনকে একইভাবে নিয়ে যাওয়া হবে। লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার এবং জোনের মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন মোস্তফা তারেক আজিজ এর তত্তাবধানে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতি, কুমিল্লার বিশেষজ্ঞ দল চিকিৎসক ক্যাম্পটি পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত চক্ষু রোগী বাছাই করা হয়।

অনেক দুরদুরান্ত ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শত শত নারী পুরুষ, শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য ভোর বেলা থেকে দীর্ঘ লাইন ধরেন। গত একমাস ধরে লক্ষীছড়ি সেনা জোনের সদস্যরা ৭টি ক্যাম্পের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে রোগীদের নাম তালিকা ভূক্ত করে। নয়াবাজার ও ফটিকছড়ি এলাকার রোগীদের সেনা পরিবহনে উক্ত চক্ষু শিবির ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের লক্ষীছড়িতে পূর্বের দিন এনে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

গুইমারা রিজিয়নের অধীনস্থ লক্ষীছড়ি জোনের আওতাধীন লক্ষীছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠে চক্ষুসেবা ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ সভাপতি বাবু কংজুরী চৌধুরী এবং লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মিজানুর রহমান মিজান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজার স্পেশাল এ্যাফেয়ারস ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ বশির আহমদ, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেম্রাচাই চৌধুরী, এম.এ জব্বার, মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ম্যাগ্রা মারমা, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংগ্য প্রু মারমা, বেবি রানী বসু, লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আ: জাব্বার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রবিল কুমার চাকমা, বার্মাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হরিমোহন চাকমা, দুল্যাতলী ইউপি চেয়ারাম্যান ত্রিলন চাকমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মিজানুর রহমান বলেন, রুগীদের উপস্থিতি অত্যাধিক হওয়ায় জানুয়ারী ২০১৯ মাসে আরেকটি চক্ষু শিবির করার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post