লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাচনে সর্বত্র আলোচনায় বাবুল চৌধুরী
স্টাফ রিপোর্টার: বাবুল চৌধুরী সকলের কাছে মারমা নেতা হিসাবে পরিচিত। নেতৃত্বের গুনাবলী দিয়ে ছোট থেকে বড় সকলের সাথে মেশার যোগ্যতা আছে তাঁর। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী। ক্রীড়াকে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সামাজিক উন্নয়ন সহ নানা কর্মকান্ডে রয়েছে তার অবদান। বাবুল চৌধুরী ৮৭সালে লক্ষ্মীছড়ি হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯০সালে এইচএসসি এবং ২০০০সালে ডিগ্রি পাশ করেন রাঙ্গামাটি সরকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে। ২০০৩সাল থেকে বাংলাদেশ মারমা উন্নয়ন সংগঠন (বিএমএসসি) লক্ষ্মীছড়ি শাখায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। লক্ষ্মীছড়ি হাইস্কুলে ১৯৯০সাল থেকে অফিস সহকারি পদে কর্মরত থাকলেও ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন বাবুল চৌধুরী। এর আগে তিনি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বেশ কিছু দিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১/১১ এর সময় দেশের পট পরিবর্তন হলে বিএনপির কর্মকান্ড থেকে সরে আসেন বাবুল চৌধুরী। দীর্ঘ সময় রাজনীতি থেকে গুটিয়ে রাখেন নিজেকে। বিগত ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আওয়ামীলীগের ছায়াতলে গাঁ ভাসান বাবুল চৌধুরী। তবে এর পর থেকে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে খুব একটা দেখা যায় নি তাঁকে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মহাবিপর্যয়ের পর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার ঘোষণায় আওয়ামীলীগের হিসেব মিলাতে হচ্ছে অনেকটা কৌশলী হয়ে। দলীয় প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে লক্ষ্মীছড়িতে ভোটের মাঠে এখন আলোচনা শীর্ষে বাবুল চৌধুরী। বাবুল চৌধুরীয় ৩য় এবং ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও নানা কারণে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেন নি।
আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ’র সমর্থন পেতে মনোনয়ন দৌড়েও এগিয়ে ছিলেন বাবুল চৌধুরী। নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে এবারো ইউপিডিএফ’র সমর্থন পাওয়ার জন্য লবিং করলেও গ্রীণ সিগনাল না পাওয়ায় আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিনে(২৫জানুয়ারি) সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। সকলের দৃষ্টিতে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাচনে ভোটের মাঠে বাবুল চৌধুরীর এটি একটি নতুন চমক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুল চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। দল যদি মনোনয়ন দেয় আমার বিজয় নিশ্চিত। আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। আগামীতেও নির্বাচিত হয়ে দল-মতের উর্দ্ধে ওঠে সকলের জন্য কাজ করে যাবো। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখনো অনেক সময় আছে- সব কথা বলার সুযোগ এখনো হয় নি। তবে যত চাপই আসুক আমি শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো এতটুকু বলতে পারি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি হাজি আবুল হাসেম চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনিও দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দীর্ঘ দিনের পরিক্ষিত দলের মধ্যে একাধীক ব্যক্তি মনোনয়ন দাবিদার বলেও একাধীক সূত্র জানায়।