• December 12, 2024

লঙ্গদু-রাঙ্গামাটি লঞ্চ যাত্রা এক দুঃসহ যন্ত্রণার নাম

আব্দুর রহিম,লঙ্গদু: লংগদু-রাঙ্গামাটি লঞ্চ যাত্রা এখন এক দুঃসহ যন্ত্রণার নাম। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুষ্ক মওসুম আসার সাথে সাথে লঙ্গদু-বাঘাইছড়ি রাঙ্গামাটি লঞ্চ পথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের কপালে নেমে এসেছে দুঃসহ যন্ত্রণা।

বাঘাইছড়িবাসীর এ পথে চলাচল এখন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।বিকল্প রাস্তা হিসেবে বাঘাইছড়িবাসী ৭-৮ ঘন্টা বাসে চেপে যন্ত্রণাকে সঙ্গী করে বাঘাইছড়ি যেতে পারলেও লঙ্গদুবাসী সড়ক পথে জেলা সদর থেকে বাড়ী আসা সে এক কল্পনা। জনসাধারনের এ দুভোগ নিজের চোখে না দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই। এটি বুঝবে শুধু ভোক্তভুগীরা। এ প্রতিবেদক ২৪ মার্চ রাঙ্গামাটি থেকে আসার সময় এ ভোগান্তির সাক্ষী হয়ে দাঁড়ান। সে দিনের ২.৩০ মিনিটে রাঙ্গামাটি থেকে ছেড়ে আসা লঙ্গদুগামী বিরতিহীন লঞ্চটি সুবলং পেরিয়ে বরুনাছড়ি এলাকায় প্রবেশের পথে চরে আটকে গেলে কমপক্ষে দেড় ঘন্টা সময় পার করে যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান নাড়াছাড়ায় চর থেকে ছুটে আসে।

সেখান থেকে ছুটে একটু সামনে আসলে আবারও প্রতিবন্ধকতা। সেখানেও আধা ঘন্টা। আবারও যাত্রীদের নাড়াচাড়া। সেখান থেকে ছুটে আসলেও কাট্রলি পেরিয়ে ফোরেরমুখের কাছাকাছি আসলে বাধ সাধে আরেক চর। এখানেও আগের অবস্থা।অবশেষে লঙ্গদু-মাইনীমুখে লঞ্চ এসেছে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।সে দিন লঞ্চের কেরানী আক্ষেপ করে বলল,আজ আমার ৪০-৪৫ লিটার ডিজেল অতিরিক্ত পোড়াতে হল।লঙ্গদু-বাঘাইছড়ি রাঙ্গামাটি লঞ্চ পথে যাতায়াতকারী প্রতিদিন ১২-১৩ টি লঞ্চএভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

লঙ্গদু-বাঘাইছড়ি রাঙ্গামাটি লঞ্চ পথে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ লাঘবে ইতিপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। অনেক আগ থেকেই লঙ্গদু-বাঘাইছড়ি উপজেলার লোকজন শুনে আসছে তাদের দুর্ভোগ লাঘবে নদীপথ খনন করা হবে। তা এখনো শুনাতেই সীমাবদ্ধ। সংশ্লিষ্ট করতিপক্ষ খাল খননের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নিলে লঙ্গদু -বাঘাইছড়ি উপজেলার লোকজনের দুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করবে।

পাহাড়ের আলো

https://pahareralo.com

সর্বাধিক জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল। সর্বশেষ সংবাদ সবার আগে জানতে চোখ রাখুন পাহাড়ের আলোতে।

Related post