লামায় বৃক্ষ ও বন জরিপ বিষয়ে তথ্য বিনিময় সভা

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: লামায় বৃক্ষ ও বন জরিপ বিষয়ক তথ্য বিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, সরকারের এ উদ্যোগের ফলে অপরিকল্পিত ভাবে বন উজাড় বন্ধ ও বন বৃদ্

খাগড়াছড়িতে বিএনপির কাউন্সিল মঞ্চ ভাঙচুর, উপজেলা সভাপতিসহ আহত ১০
দীঘিনালায় ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
মানবাধিকার কমিশনের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত খাগড়াছড়িতে

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: লামায় বৃক্ষ ও বন জরিপ বিষয়ক তথ্য বিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, সরকারের এ উদ্যোগের ফলে অপরিকল্পিত ভাবে বন উজাড় বন্ধ ও বন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে। সুন্দরবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে শুরু হয়েছে বৃক্ষ ও বন জরিপ। এক হাজার ৮৫৮টি স্থানে এ জরিপকাজ চলে এখন প্রায় শেষের পর্যায়ে। বক্তারা আরো বলেন, সরকারের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে জরিপ কাজের এ গবেষণার মাধ্যমে আমাদের প্রকৃত বনজ সম্পদ কতটুকু আছে, সেটা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। এসময় এলাকার হেডম্যান কারবারী, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ তথ্য বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

৫ ফেব্রয়ারি সকাল ১০ টায় লামা বন বিভাগের ডাক বাংলো চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠি সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। এ সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ, লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা, সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মো.কামরুজ্জামান প্রমুখ বিশেষ অতিথি ছিলেন।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বনজ সম্পদের সুরক্ষা, এর সর্বোত্তম ব্যবহার সুনিশ্চিত করা, বনের আচ্ছাদন বৃদ্ধি এবং বন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এ জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, এফএও, ইউএসএআইডি ও সিলভাকার্বন। ২০১৮ সালে এ জরিপকাজ শেষ হবে। এটিই প্রথম পরিপূর্ণ দেশের বনজ সম্পদ জরিপ বা গবেষণা কার্যক্রম। এর আগে ২০০৫ সালে সারাদেশে এ ধরনের জপিরকাজ চালানো হয়। তবে সেটি পূর্ণাঙ্গ জরিপকাজ ছিল না।