লামায় মাসিক আইন-শৃংখলা সভা
লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামায় উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন-শৃংখলা ও সাধারণ সভা গতকাল সোমবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএনও নুর-এ-জান্নাত রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃংখলা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, বিগত বছর গুলোর ন্যায় এ বছরও আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে বনজ সম্পদ কাঠ, পাথর ও বালু আহরণ ও পাচার থেকে চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সংঘবদ্ধ পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি তৎপর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কয়েক হাজার তামাক চুলি ওø শতাধিক ইটভাটার জ্বালানীকাঠ, নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে পাথর ও বালু আহরণ ও পাচার থেকে উল্লেখিত চাঁদাবাজরা ব্যাপক হারে চাঁদা আদায় করে। এসব সন্ত্রাসীরা নিজেদের কখনো আরকান আর্মী, কখনো জেএসএস, আবার কখনো শান্তিবাহিনী হিসেবে পরিচয় দিয়ে উপজেলার দুর্গমে তাদের আধিপত্য বিস্তার করছে।
এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠির উপস্থিতির কারনে দুর্গমের জনজীবন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। তাদের ব্যাপক চাঁদাবাজি ও অত্যাচারের কারনে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জুমিয়াগনের উৎপাদিত ফসল, বাগানের ফলমুল ইত্যাদি কেনার জন্য যেতে পারছেন না। এর ফলে দুর্গমে ক্রয়-বিক্রয়ে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে বক্তাগণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনুঅং চৌধুরী প্রধান আতিথ্যে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল আলম, ফাঁশিয়াখালি ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা ও পৌর কাউন্সিলার মোহাম্মদ রফিক।
লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক ও আইন-শৃংখলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ফাাঁশিয়াখালি ইউনিয়নের গয়ালমারা, গজালিয়া ও সরইউনিয়নের লুলাইংবাজারে এবং রুপসীপাড়া ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংমুখ এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এলাবাসরি সহায়তায় সমাজ থেকে সবধরনের চাঁদাবাজি দমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, অবৈধ অস্ত্র ও চোরাচালান প্রতিরোধ, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করা হবে।